জুমবাংলা ডেস্ক: ‘আমার উপর অতি নিকট আত্মীয় স্বজনদের মন খুব খারাপ। তার মধ্যে পরিবার সহ স্বশুর পক্ষ। ভাই সহ বাবা মা অন্যতম। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রায় ২০৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারির নিয়োগ হয়েছিল দুইবারে। প্রথমে কর্মচারি, পরে কর্মকর্তা। আমি ছিলাম নিয়োগ কমিটির সভাপতি।
দুইবারেই পেপারে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে শুরু করে লিখিত পরীক্ষার দিন পর্যন্ত আমার চোদ্দগুষ্টির কাউকে বলিনি। কেউ জানে না আমাদের অফিসে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বা হবে।
ফলাফল আমার পরিবার, আত্মীয় স্বজনরা কেউ আবেদন করার সুযোগই পায়নি।
এটা নিয়েই সবার আক্ষেপ আমার উপর। কেন আমি সুযোগটা নিজেদের মধ্যে দিলাম না। তদ্বির না হোক, আবেদন করার সুযোগটা তো অন্তত পেত।
দেইনি সে সুযোগ। প্রথম কারণ যোগ্যতাবলে পরিবারের কেউ চাকরি পেলেও সে এবং আর সবাই মনে করত আমার কারণেই সে চাকরি পেয়েছে।
যদি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হত, তাহলে সবাইকে বলে বেড়াত, আমি কমিটির সভাপতি হওয়া সত্বেও সে চান্স পায়নি বা আমি কোন সুবিধা দেইনি।
দুইটাই আমার জন্য অবমাননাকর।
তাই একেবারেই গোপন করে গিয়েছিলাম নিয়োগের বিষয়টি নিজের পরিবারের কাছে।
আমরা কমিটির সদস্য ছিলাম ৮ জন। দুই পরীক্ষায় একজন সদস্যও বলেননি, তাঁর একজন ক্যান্ডিডেট আছে। আমরা কারো অনুরোধ রাখিনি। রাখার কোন সুযোগও ছিল না। আগে থেকেই সে পথ আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
ভাল নিয়োগ জন্ম দেয় সত এবং দক্ষ কর্মীবাহিনী।
এই বছরেই রেলের প্রায় ১৫ হাজার শুন্য পদের নিয়োগ আসছে ইনশাআল্লাহ। তারপরেই হয়ত প্রায় বিশ হাজারের বেশি নতুন জনবল।
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর ঐকান্তিক আগ্রহ আর সদয় ইচ্ছায় রেল পাচ্ছে এক বিশাল কর্মীবাহিনী। ধন্যবাদ মাননীয় রেলমন্ত্রী, সচিব, ডিজি মহোদয় সহ মন্ত্রণালয় এবং রেল অধিদপ্তরের সকলকে।
এক বিপ্লব আসছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ইনশাআল্লাহ।’
(কথাগুলো নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।