বিশ্ববাজারে খাদ্যপণের দাম কমতে শুরু করেছে। এটি বিশ্বের সব ধরনের ক্রেতাদের জন্য ভালো খবর। তবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এএফএও সন্তুষ্ট হতে পারছে না। তারা মনে করে এখনো দাম কত বছরের তুলনায় একটু বেশি।
যারা চিনি ও দানাদার খাদ্যের উপর নির্ভর করে থাকেন তাদের জন্য ভাল খবর রয়েছে। কেননা এসব পণ্যের দাম সবথেকে বেশি কমে গেছে। দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিছুতেই দাম আটকানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমলেও দেশের বাজারে কোন সস্তি নেই। এক মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমেছে ১.৬%। তবে যদি এক বছরের দামের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে তা 6% বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি কমেছে চিনির দাম। গত ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে এই পণ্যের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, যা এক বছর আগের তুলনায় সাড়ে ১৮ শতাংশ কম। আর ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা ট্রেডিং ইকোনোমিকসের পূর্বাভাস, চলতি বছরজুড়েই বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী থাকবে চিনির দাম।
এদিকে, ডিসেম্বরের তুলনায় ভোজ্যতেলের দাম ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমলেও গত বছরের জানুয়ারির তা এখনও প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। ট্রেডিং ইকোনোমিকসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর জুড়ে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম নিম্নমুখী থাকার কথা থাকলেও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সূর্যমূখী তেলের মূল্য।
অন্যদিকে বরাবরের মতোই ভোক্তাকে ভোগাতে উল্টোপথে হেঁটেছে দুগ্ধজাত পণ্য। বিশ্ববাজারে গেল মাসে এই পণ্যের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এফএওর হিসাব মতে, যা এক বছর আগের তুলনায় বিশ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি দামে বেচাকেনা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।