জুমবাংলা ডেস্ক: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে দেবর-ভাবিকে শেকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয় লোকজন শেকল দিয়ে বেঁধে তাদেরকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হুমায়ূন খানের জিম্মায় প্রেরণ করে। তবে পুলিশকে ঘটনাটি অবগত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের আবুল কালামের পুত্র শাকিলকে (১৮) তার চাচাতো ভাই ভিংরাজ মিয়া স্ত্রীর ঘরে পেয়ে আটক করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়াকে জানালে তিনি তাদেরকে আটক রাখার সিদ্ধান্ত দেন। সেই মোতাবেক রাতে দেবর-ভাবিকে শেকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন স্থানীয়রা। আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে তাদেরকে পুনরায় নির্যাতন করা হয় এবং দুপুরে পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় তিন কিলোমিটার সড়ক দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান শাকিলকে তার বাবা আবুল কালামের জিম্মায় এবং গৃহবধূকে তার চাচা সুলতান মিয়ার জিম্মায় প্রদান করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান জানান, তার অফিসে শেকল বাঁধা অবস্থায় ছেলে মেয়েকে আনা হয়নি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ছেলেকে তার বাবার জিম্মায় এবং মেয়ের বাবা না থাকায় তার চাচার জিম্মায় প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় শেকল বাঁধা দেবর ও ভাবির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায় গ্রামের রাস্তায় মেয়েটি মাথায় ঘোমটা দেওয়া এবং ছেলে পরনের গেঞ্জি দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।