এক শতাব্দীর মধ্যে ইংল্যান্ডে পুরো এক ডায়নাসরের জীবাশ্ম উদ্ধার

Comptonatus chasei

ইংল্যান্ডের মধ্যে আইল অফ ওয়াইট বেশ সুপরিচিত একটি জায়গা। বিজ্ঞানীরা এখানে ডাইনোসরের নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন। এ প্রজাতির নাম হচ্ছে Comptonatus chasei। তারা ধারণা করছে যে, এ ডাইনোসরটি ক্রিটেসিয়াস যুগে জীবিত ছিল। সম্ভবত সামনে ডায়নাসরের আরো নতুন প্রজাতির আবিষ্কার করার সম্ভাবনা রয়েছে।

Comptonatus chasei

গবেষকরা যে জীবাশ্ম আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে তা 125 মিলিয়ন বছর পুরনো। 2013 সালের দিকে একই স্থানে আরেকটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছিল। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আগে জীবাশ্ম সংগ্রহ নিয়ে কাজ করছিলেন নিক চেস।

পোর্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ১৪৯টি হাড় নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি নিশ্চিত হন যে, তারা নতুন একটি ডাইনোসরের প্রজাতির সন্ধান পেয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, ডাইনোসরের হাড় খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে নিক তার মেধার পরিচয় দিয়েছে। এ গবেষণায় তার অবদান সবসময় স্মরণীয়।

নিক প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও জীবাশ্ম সংগ্রহের কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। তার নামে নতুন ডাইনোসরের জীবাশ্মের নামকরণ করা হয়েছিল। প্রথমে ডাইনোসরকে ভিন্ন একটি প্রজাতির অন্তর্গত হিসেবে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু জেরেমির গবেষণার পরে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

ডাইনোসরের মাথার খুলি, দাঁত এবং শরীরের অন্যান্য অংশের বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, নতুন ডাইনোসরের চোয়াল সোজা ছিল। এরকম অনেক ডাইনোসরের প্রজাতি রয়েছে যাদের চোয়াল সোজা নয় বরং বাঁকা।

ডিনার প্লেটের আকারের একটি নিতম্বের হাড়ও পেয়েছে গবেষকরা। জেরেমি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন যে, নিতম্বের হাড় কেন এতটা বড়। ডাইনোসরের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে এ হাড়ের সম্পর্ক আছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে যে, নতুন ডাইনোসরের ওজন ছিল প্রায় এক টন। ক্রিটেসিয়াস যুগের সময় ইংল্যান্ডের দক্ষিণ অঞ্চলে ডাইনোসরের মধ্যে যে বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায় তা গবেষণার জন্য চমৎকার বিষয়। ইংল্যান্ডের আইল অফ ওয়াইট এ গত পাঁচ বছরে ৮টি নতুন ডাইনোসরের প্রজাতির নামকরণ করা সম্ভব হয়েছে।