আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক সপ্তাহে ১৪ লাখ তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন বলে উত্তর কোরিয়ার সরকার দাবি করেছেন। বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ–এর এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোনের অনুপ্রবেশ ঘিরে সংঘাতের আবহ তৈরির পর থেকেই এই আবেদনপত্রগুলি পড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কিমের বোন তথা উত্তর কোরিয়ার শাসকদলের পলিটব্যুরো সদস্য কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়াকে ড্রোন অনুপ্রবেশ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কেসিএনএ’র রিপোর্টে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও যুব লীগের কর্মকর্তাসহ যেসব তরুণরা সেনাবাহিনীতে যোগদানের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন, তারা ‘বিপ্লবের অস্ত্র দিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করার পবিত্র যুদ্ধে’ লড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
কেসিএনএ’র প্রকাশিত ছবিগুলোতে তরুণদের একটি অজ্ঞাত স্থানে পিটিশনে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে। মাত্র দুই দিনের মধ্যে দেশটির কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে ১০ লাখেরও বেশি তরুণদের স্বেচ্ছায় তালিকাভুক্ত হওয়ার দাবিটি এমন সময়ে এসেছে যখন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে। এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধিকে ঘিরে অতীতেও একই ধরনের দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। গত বছর রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য উত্তরের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের করতে ৮ লাখ নাগরিক আবেদন করেছে।
এদিকে পিয়ংইয়ং গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সড়ক ও রেলপথ উড়িয়ে দেয়। এর আগে দেশটি হুঁশিয়ারি দেয়, আর কোনো ড্রোন পাঠানো হলে বিষয়টিকে যুদ্ধের ঘোষণা বলেই ধরে নেওয়া হবে। পাশাপাশি সীমান্তে গুলি চালানোর জন্য সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।