জুমবাংলা ডেস্ক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তার সঠিক হিসেব এখনও দিতে পারেনি প্রশাসন।
দুর্ঘটনার পর আজ সকাল থেকেই সুগন্ধা নদীর তীরের দিয়াকুল গ্রামে, ঝালকাঠী সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নিখোঁজদের সন্ধানে ছুটতে দেখা গেছে স্বজনদের। এসময় তাদের আহাজারিতে ভারি হয় সুগন্ধা তীর এবং হাসপাতালের পরিবেশ।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল রাতে গণমাধ্যমকে জানান, নিখোঁজ যাত্রীদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা আমরা এখনও বলতে পারছি না। নদীতে নিখোঁজদের সন্ধান চলছে।।’
নিখোঁজদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাণপন চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী গ্রামের বাবুল (৫০) বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে খুঁজতে এসেছিলেন তার মা রেখা বেগম (৭০) ও দুই বছরের নাতি জুনায়েদকে। বার বার আহতদের শয্যার কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বাবুল। খুঁজে পাননি মা ও নাতিকে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। আগুন লাগার পর যাত্রীরা নেভানোর চেষ্টা করেন। অনেকে ছাদে চলে যান। কেউ কেউ নদীতে লাফ দেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শতাধিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।