বিনোদন ডেস্ক : আনুশকা বলেন, তিনি তাঁর জীবন নিয়ে খুশি, তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। তাঁর কথায়, ‘আমি যেভাবে আমার জীবন পরিচালনা করছি তাতে আমি খুশি। একজন অভিনেতা হিসাবে, পাবলিক ফিগার হিসাবে, মা হিসাবে, স্ত্রী হিসাবে কারও কাছে বিন্দুমাত্র কিছু প্রমাণ করতে চাই না। আমি শুধু সেটাই করতে চাই যেটা আমায় আনন্দ দেয়।’
সাধারণ থেকে তারকা, মাতৃত্ব হয়ত কমবেশি সব মেয়ের জীবনই বদলে দেয়। ঠিক যেমন ভামিকা আসার পর বদলে গিয়েছে অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার জীবন। আর সে কারণেই হয়ত এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বিরাট-ঘরণী।
কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনুশকা শর্মা?
অভিনেত্রী জানিয়েছেন মেয়ে ভামিকার জন্যই নাকি এখন থেকে তিনি আগের মতো ছবি করবেন না। কম ছবিতে কাজ করবেন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। এতবড় সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তিনি। আনুশকা শর্মার কথায়, ‘আমি অভিনয়কে উপভোগ করি। তবে এখন আর আমি আগের মতো অনেক ছবিতে কাজ করব না। এবার থেকে বছরে একটা ছবি করব। তাতে অভিনয়ের মতো ভালোলাগার বিষয়টাও উপভোগ করব, পাশাপাশি পারিবারিক জীবনেও ভারসাম্য থাকবে। কারণ, আমি এখন থেকে আমার পরিবারকেই সব থেকে বেশি সময় দিতে চাই। কারণ এখন ভামিকার আমাকে সবথেকে বেশি প্রয়োজন। বিরাট বাবা হিসাবে দারুণ। ও যতটা পারে মেয়েকে সময় দেয়। তবে আমি খেয়াল করেছি, বিরাটের থেকেও ভামিকার বেশি আমাকেই প্রয়োজন। ওর আমাকে চেনা, জানাটা অনেক বেশি দরকার।’
আনুশকা বলেন, তিনি তাঁর জীবন নিয়ে খুশি, তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। তাঁর কথায়, ‘আমি যেভাবে আমার জীবন পরিচালনা করছি তাতে আমি খুশি। একজন অভিনেতা হিসাবে, পাবলিক ফিগার হিসাবে, মা হিসাবে, স্ত্রী হিসাবে কারও কাছে বিন্দুমাত্র কিছু প্রমাণ করতে চাই না। আমি শুধু সেটাই করতে চাই যেটা আমায় আনন্দ দেয়। যেটা ঠিক বলে মনে হয়, সেটাই আমি করি।’
আনুশকা আরও বলেন, ‘মাতৃত্ব আমাকে একজন মা হিসাবে নিজেকে এতটা বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে। কারণ আপনি এমন একজনের জন্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যিনি অনেক ছোট্ট ও কোনওকিছু করতে পারে না। সুতরাং, এই সময় আপনি খুব সাহসী হয়ে উঠবেন এবং আপনি নিজেকে অনেক বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। আমি মনে করি আমি আগের চেয়ে সাহসী। আমি এমন সিদ্ধান্ত নিই যা আমার আগে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। আমি এখন আরও নির্ভিক।’
আনুশকা বলেন, তিনি বা বিরাট যদি ভোর ৩টের সময় জেগে থাকেন, তাহলেই বন্ধুদের ফোন করেন। তবে তাঁরা ৩টের সময় জেগে থাকতেই চান না। কারণ, এখন মেয়ের জন্যই তাড়াতাড়ি ঘুমতে যান। তাঁর কথায়, ‘এটা কোনও অজুহাত নয়, ছোট্ট সন্তান থাকলে খুব বেশি সামাজিক হওয়া সম্ভব নয়। যদিও আমরা এমনিতেই খুব বেশি সামাজিক ছিলাম না, তাই এই জীবনে বেশ খুশি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।