গত ষাট বছরে, বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার জন্য অনুসন্ধান চলছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত, আমরা বহির্জাগতিক সভ্যতা থেকে টেকনোমিশনের কোনো প্রমাণ পাইনি। ফলে কিছু গবেষক প্রশ্ন করেছেন যে, কেন আমরা কোন সংকেত এখন পর্যন্ত পাইনি।
ইপিএফএল-এর পরিসংখ্যানগত বায়োফিজিক্সের ল্যাবরেটরির অতিথি বিজ্ঞানী ড. ক্লাউডিও গ্রিমাল্ডি একটি মডেল তৈরি করেছেন যা এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করতে পারে। ডঃ গ্রিমাল্ডির মতে, আমরা বহির্জাগতিক সভ্যতা থেকে কোনো প্রযুক্তিগত নিঃসরণ শনাক্ত করতে পারিনি তার কারণ হল পৃথিবী সেখানে থাকতে পারে যাকে তিনি void space হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর মানে হল যে মহাকাশের যেখানে পৃথিবী অবস্থিত সেখানে প্রযুক্তিগত নিঃসরণ সহজে পৌঁছায় না।
ডঃ গ্রিমাল্ডির মডেল অনুযায়ী প্রযুক্তিগত বিকিরণ” এর অস্তিত্ব আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সমীক্ষাটি সত্য হলে, আমরা ষাট বছর ধরে একটি শূন্য অঞ্চলে রয়েছি, তবে আমাদের ছায়াপথের কোথাও প্রতি শতাব্দীতে এক থেকে পাঁচটিরও কম ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক নির্গমন হয়। এটি তাদের মিল্কিওয়েতে সুপারনোভার মত বিরল ঘটনা ঘটার দিকে পরিচালিত করে।
ডঃ গ্রিমাল্ডি পরামর্শ দেন যে, বহির্জাগতিক সভ্যতা থেকে প্রযুক্তিগত নিঃসরণ অনুসন্ধানের সর্বোত্তম কৌশল হতে পারে SETI কমিউনিটির অন্যান্য অ্যাস্ট্রোফিজিকাল স্টাডি থেকে ডেটা এনালাইসিস করা। অন্যান্য নক্ষত্র বা ছায়াপথ থেকে রেডিও নির্গমন শনাক্ত করতে হবে যাতে তারা কোনো টেকনো-সিগন্যাল ধারণ করে কিনা সেটা বোঝা যায়।
উপস্থাপিত ধারণাটি সত্য বা মিথ্যা হতে পারে তা জোর দিয়ে গবেষণাটি উপসংহারে পৌঁছেছে। তবুও, এটি জানায় যে, প্রযুক্তিগত নির্গমনের জন্য অন্যান্য পর্যবেক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্পাদনকারী টেলিস্কোপ দ্বারা সংগৃহীত ডেটা থেকে টেকনোসিগন্যাল অনুসন্ধান করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বেসরকারীভাবে অর্থায়িত ব্রেকথ্রু লিসেন প্রজেক্ট এর কথা বলা যায়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ প্রজেক্ট নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান পরিচালনা করছে।
২০১৫ সালে এটি শুরু হয়েছিল এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। ব্রেকথ্রু লিসেন রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বহির্জাগতিক ইন্টেলিজেন্ট সিভিলাইজেশন অনুসন্ধানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমান টেলিস্কোপের চেয়ে এটির সংবেদনশীলতা 50 গুণ বেশি। প্রকল্পটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের ১ মিলিয়ন নক্ষত্র জরিপ করছে। এমনকি এটি মিল্কিওয়ের নিকটতম ১০০ ছায়াপথের নির্গমন স্ক্যান করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।