স্পোর্টস ডেস্ক : ১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুন, ২০০২ বিশ্বকাপে সেনেগাল, ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানা। বিশ্বকাপে আফ্রিকান দেশগুলোর দৌড় কি শুধুই কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত! না, সেই ইতিহাস আজ বদলে দিয়েছে মরক্কো।
পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রেখেছে তারা।
বিশ্বকাপের আগে কজনই বা তাদের গোনায় ধরেছিল। তিন মাস আগেও কোচ ছাঁটাই করে ছন্নছাড়া ছিল দলটি। কিন্তু ওয়ালিদ রেগ্রাগুই দায়িত্ব নিয়েই জাদুর পরশে যেন বদলে দিলেন সবকিছু । তার অধীনে কাতার বিশ্বকাপে রূপকথা লিখে চলেছে মরক্কো। তবে সেমিফাইনালে পৌঁছেই রূপকথার শেষ টানতে চান না ওয়ালিদ। তাদের স্বপ্নটা এখন আরো বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ যে ইতিহাস লিখতে হবে সেই কথা আগেই খেলোয়াড়দের জানিয়ে রেখেছিলেন মরক্কো কোচ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘পর্তুগালের মতো অসাধারণ একটা দলের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলেছি, অধিনায়ক ইনজুরিতে পড়েছিল কিন্তু তারপরও সবাই লড়াই করেছে। ম্যাচের আগে আমি তাদের বলেছিলাম, আমাদের আফ্রিকার ইতিহাস লেখতে হবে, সেটা করেছিও। আমরা উন্নতি করছি, নিজেদের গুণাবলি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। ’
ওয়ালিদ আরো বলেন, ‘আমরা ওইসব মানুষদের খুশি করার জন্য একটি মানসিক অবস্থা তৈরী করেছি। ভেবেছিলাম কখন এই পথটি অতিক্রম করতে পারবে, আজ সেটা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। ’
মরক্কোকে নিয়ে সমালোচনার কোনো কারণই খুঁজে পান না ওয়ালিদ। তিনি বলেন, ‘তারা (পর্তুগাল) স্পেনের চেয়েও বেশি সমস্যায় ফেলেছে আমাদের। তাদের প্রচুর টেকনিক্যাল গুণ আছে। আমি বুঝি না, কেউ কীভাবে আমাদের নিয়ে সমালোচনা করতে পারে। আমরা নিজেদের মতো করেই খেলেছি, নিজেদের অস্ত্র নিয়েই লড়েছি। ’
এদিকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর সেমিফাইনালে মরক্কোর প্রতিন্দ্বন্দ্বী হবে ফ্রান্স-ইংল্যান্ডের মধ্যকার জয়ী দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।