করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ। এমন এক পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বুধবার গার্মেন্ট শ্রমিক জুলমত হোসেন ময়মনসিংহের ভালুকায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামে।
করোনা সন্দেহে ঐ পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে বাঁধা দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই পোশাক শ্রমিকসহ পরিবারের ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। পরে ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার শর্তে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ দাফনে সম্মত হন এলাকাবাসী। তবে এলাকার কেউই এগিয়ে না আসায় উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা লাশের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করেন।
শাহজাদপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, করোনা সন্দেহে লাশ দাফনে এলাকার লোকজন বাধা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার নমুনা সংগ্রহ করে। পুলিশ পাহারায় দুপুরে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় থেকে পোশাক শ্রমিকের মরদেহ আসে। কিভাবে মারা গেছেন, পরিবারের লোকজন স্পষ্টভাবে তেমন কিছুই বলেনি। এলাকাবাসীর আপত্তির কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিহত ও স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষার জন্য রোববার রামেক হাসপাতালে পাঠনো হবে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ১১ জনকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বলা হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আশিকুল হক দিনার বলেন, করোনা সন্দেহে ওই পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে স্থানীয় কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. রাসেল ও তার সহযোগীরা জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।