জুমবাংলা ডেস্ক : ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে যখন আদালতের এজলাসে তোলা হয় তখন অনেকটা নার্ভাস দেখাচ্ছিল তাকে। বারবার ঘেমে যাচ্ছিলেন যুবলীগের একসময়ের প্রভাবশালী এই নেতা। এ সময় পাশে থাকা একজনের এগিয়ে দেয়া টিস্যু দিয়ে বারবার ঘাম মুছছিলেন সম্রাট। প্রায় ৪৫ মিনিট তিনি আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সম্রাটকে ঢাকা মহানগর হাকিম শুনানি শেষে তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সম্রাটের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে তাকে অ’স্ত্র মামলায় পাঁচ দিন এবং মা’দক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এসময় তার পক্ষে আদালতের ভেতরে অবস্থান নেন গাজী জিল্লুর রহমান, আব্দুল কাদেরসহ প্রায় ২৫ জন আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে এ সময় রিমান্ড শুনানি করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু, একই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাজ্জাদুল হক শিহাব, তাপস পাল ও এপিপি আজাদ রহমান।
সম্রাটের সঙ্গে একই দিনে এই আদালতে তার সহযোগী যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক আরমানকেও হাজির করা হয়। দেখা গেছে, আদালতে আসার পর এজলাসের এক কোণে সহযোগী আরমানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন সম্রাট। সেখানে তাকে অনেকটা অসহায় মনে হচ্ছিল। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট আদালতের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
সম্রাটকে বারবার ঘেমে যেতে দেখে পাশে থাকা একজন তাকে টিস্যু পেপার এগিয়ে দেন। শুনানির মাঝেই একবার নিজের আইনজীবী এবং বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন সম্রাট।
শুনানি শুরু হয় ১২টা ৪৪ মিনিটে। শুরুতেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে সম্রাটের দুই হাতের হ্যান্ডকাপ (হাতকড়া) খুলে দেয়ার আরজি জানান। তার এক আইনজীবী বলেন, ‘হুজুর! সম্রাট আপনার কাস্টডিতে। তিনি অসুস্থ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার হ্যান্ডকাপটি খুলে দেয়ার অনুমতি দিন।’
উত্তরে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আগে শুনানি শুরু করুন, এরপর দেখছি।’
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে নাম আসে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের। এসময় আত্মগোপনে থাকলেও ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আরমানসহ তাকে আটক করে র্যাব। পরে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় র্যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।