জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জ্যোতির্ময় সরকার তপু মারা গেছেন। তাঁর হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বিসিএস পুলিশ ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মারা যান এডিসি তপু। রাত ১০টার দিকে ডিএমপির পরিবহন বিভাগের উপকমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার তাঁর ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ের বিশ্রাম রুমে মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
রাত সোয়া ১২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে তাঁর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তপুর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামে। ৪১ বছর বয়সী জ্যোতির্ময় সরকারের স্ত্রী এবং ছয় বছরের এক ছেলে রয়েছে।
এডিসি তপুর মৃত্যুতে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জ্যোতির্ময় সরকারের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে, জ্যোতির্ময় তপুর হঠাৎ মৃত্যুতে কাঁদছেন তার সহকর্মীরা। সহকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে কেবল শোকের মাতম।
গাজীপুর জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি রোকনুজ্জামান সরকার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে বন্ধু আর নাই। কিছুদিন আগেই কথা হলো। গাজীপুরে ঘুরে যেতে বললাম। কথা দিল আসবে। অথচ আজকে সে নাই।’
এটিএম আরিফ হোসেন নামে আকে সহকর্মী লিখেছেন, ‘আহারে জীবন! বন্ধু ও প্রিয় ব্যাচমেট ৩০তম(বিসিএস পুলিশ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (ট্রান্সপোর্ট) জ্যোতির্ময় সরকার তপু নিজ অফিসেই পরলোকগমন করেছেন। গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে বন্ধু আর নাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।