জুমবাংলা ডেস্ক : এডিসের পর এবার কিউলেক্স মশা নিধনে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এজন্য বুধবার থেকে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ কর্মসূচি’ গ্রহণ করছে ডিএনসিসি।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়রের নেতৃত্বে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা পর্ষদ ও গঠন করা হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে দুইজন কীটতত্ববিদ এবং ১০ জন শিক্ষানবিশ কীটতত্ববিদ নিয়ে ডিএনসিসি আওতাধীন ৬৩৫টি স্থানে কিউলেক্স নিয়ে সার্ভে করা হয়। সেই সার্ভে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করি। সেগুলো কতটুকু ফলপ্রসূ হলো তা যাচাইয়ে ২০ অক্টোবর আবার পুনরায় সার্ভে করা হয় যেখানে ইতিবাচক ফলাফল আসে।
মেয়র বলেন, বুধবার থেকে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ কর্মসূচি’ গ্রহণ করে আমরা এখন এডিস মশার পাশাপাশি কিউলেক্স মশা নিধনে কাজ করবো। এজন্য বিদ্যমান ২৭০ জন মশক নিধনকর্মীর পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডে ৩০ জন করে এক হাজার ৬২০ জন মশক নিধনকর্মী কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ জন মশক নিধন কার্যক্রমে (ফগিং, লার্ভিসাইডিং) থাকবেন। এছাড়া বাকি ২০ জন পাঁচটি গ্রুপে চারজন করে বিভক্ত হয়ে মশার প্রজনন বা উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করবে।
সম্প্রতি ডেনমার্কের সি-ফোরটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন আতিকুল ইসলাম। সেখানে অগ্নি নির্বাপণের জন্য স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন এবং স্কুলের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি দেখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেনমার্ক সরকারের সঙ্গে আমাদের ইতোমধ্যে চুক্তি হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণে এসব স্যাটেলাইট ফায়ার সার্ভিস খুব কাজে আসবে। আর স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি দেবো আমরা, এতে করে সড়কে যানজট কমবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।