
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার গরুর খামারে ৩ মাসের ব্যবধানে দুই দফায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে শিক্ষক, ছাত্র ও কেয়ারটেকারসহ ৮ জনকে আহত করে ১২টি দুধের গরু লুট করে নিয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ২৫ লাখ টাকা।
ঘটনা ঘটেছে লাকসামের আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খামারের আয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম চলত। ডাকাতির কারণে এখন খামারের বড় গরুগুলো হারিয়ে গেছে, এবং বর্তমানে সেখানে মাত্র ১১টি গরু অবশিষ্ট আছে।
মামলার বাদী শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ নিয়ে এসে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। এরপর কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে তারা একে একে পাঁচটি গরু পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনা লক্ষ্য করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
শিক্ষক ও ছাত্ররা বলেন, দীর্ঘ তিন মাসে একই এলাকায় দুই দফায় ডাকাতি হওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। খামারের সামনে এখনও ডাকাত দল ব্যবহৃত তুষের বস্তা পড়ে আছে, যা গরু ভ্যানে ওঠানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার বলেন, এ গরু খামারের আয়ের অর্থ দিয়ে মাদরাসা পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও এ মাদরাসার খামারে গত তিন মাস আগে ৭টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, লুট হওয়া গরু উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত। এ ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৬০
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



