জুমবাংলা ডেস্ক : বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি হলেন শাকিল সিকদার। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকান।
রবিবার মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি করে বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন নির্ধারণ করা হয়।
২০১৪ সালের ২৪ জুন আতিক হত্যা মামলায় রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে শাকিল সিকদারকে ফাঁসি, আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নাহিদের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার রামনগরহাটি গ্রামে। ফোরকানের বাড়ি পটুয়াখালির কেউরাবুনিয়া গ্রামে। পলাতক বরগুনার আমতলি উপজেলার কলাগাছি গ্রামের মো. খোকনকে তিন বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। এ সাজাও বহাল রাখা হয়েছে।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আসামি। এছাড়া ডেথরেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে আসে।
জানা যায়, ২০০৯ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের মত কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন আতিক। বড় মগবাজারের ১৮০/৩ নয়াটোলায় থাকতেন তিনি। পথে ঢাকা-টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের মোড়ে কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সন্ত্রাসীরা আতিকের পেটে দুটি গুলি করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আতিক মারা যান।
পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আতিকের বড় ভাই আবুবকর সিদ্দিক রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আবুল খায়ের ৯ আগস্ট ২০০৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।