জুমবাংলা ডেস্ক : গতকাল থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। গত ১৫ বছর ধরে ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে বই উৎসব। তবে এবার হয়েছে তার ব্যতিক্রম। হঠাৎ দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পাঠ্যপুস্তকেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন, যার জন্যে অনেক সংশোধন-পরিমার্জন করেছে এনসিটিবি। ফলে বই ছাপানোর কাজও শুরু হয়েছে দেরিতে।
এসব কারণে বিগত বছরগুলোর মতো এবার বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারেনি না সরকার। তবে, ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত হচ্ছে পরিমার্জিত পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন।
নতুন বই সবার হাতে দিতে না পারায় পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে, যা অনলাইনে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বইয়ের পিডিএফ কপি পাওয়া যাচ্ছে গতকাল থেকে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ঠিক সময়ে বই দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিতে না পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে আমরা আন্তরিক দুঃখিত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে। এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বইগুলোর অনলাইন ভার্সন পাওয়া যাবে আজ থেকেই। ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি সব বই ও মাধ্যমিকের ৮টি বই পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে। এছাড়াও ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই ও ২০ তারিখের মধ্যে সকল শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। ৪১ কোটির মধ্যে ৬ কোটি বই দেওয়া হয়ে গেছে এবং আরও ৪ কোটি বই দেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বছরের পর বছর বই উৎসবের নামে অর্থ অপচয় হয়েছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।