নিয়মিত সেনাবাহিনী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন দুই সাবেক কর্মকর্তা।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এর আগে এনসিপির আহ্বায়কের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন দুজনেই।
ওই দুই সাবেক সেনাকর্মকর্তা হলেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মেজর (অব.) মো. সালাউদ্দিন।
আল মাহমুদ ছিলেন দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এবং মো. সালাউদ্দিন কেন্দ্রীয় সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ অভিযোগ করেন, এনসিপির সিনিয়র নেতারা নিয়মিত সেনাবাহিনী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে আসছে। এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতৃত্বকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।
তিনি বলেন, এনসিপিতে নিজস্ব বলয় তৈরি হয়েছে। এর বাইরে কোনো মত শোনার মানসিকতা নেই। এমনকি সাবেক সেনা সদস্যদের দল থেকে শূন্য করে দেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই পরিবেশে আর কাজ করা সম্ভব নয়।
একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলে যদি পরমতসহিষ্ণুতা না থাকে তবে সেই দল দীর্ঘ পথ চলতে পারে না। মেজর (অব.) আবদুল্লাহ বলেন, ‘নিজেদের পছন্দসই কাজ করে, অন্যদের দলে কোনো ভূমিকা রাখতে দিতে চায় না। তাই সরে যাচ্ছি। আমরা দুজনই সাবেক সেনা সদস্য এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলাম, এখন আমরা আর থাকছি না। এখানে কাজ করার মতো অবস্থা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক অভিলাষ নিয়ে এনসিপিতে যোগ দিইনি, বরং দেশের জন্য নতুন পরিসরে কাজ করার প্রত্যাশায় এসেছিলাম। কিন্তু গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব ও ভিন্নমতের প্রতি অসম্মান আমাদের হতাশ করেছে।’
একদিন না যেতেই নেপালের জেন-জিদের অভিযোগ, ছিনতাই হয়ে গেছে বিপ্লব!
মেজর (অব.) আবদুল্লাহ বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অসম্মানজনক মন্তব্য সহ্য করা এবং নেতৃত্বের সংকীর্ণ মানসিকতা মেনে নেয়া আর সম্ভব নয়। তাই আজ থেকে এনসিপির সঙ্গে আমাদের আর কোনো সম্পৃক্ততা থাকছে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।