জুমবাংলা ডেস্ক : হাসপাতালের কর্মরতদের এন-৯৫ মাস্ক না দিলে মৃত্যুর মাধ্যমে পালাতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বরগুনা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. কামরুল আজাদ।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও চিকিৎসকসহ সংবাদকর্মীদের ট্যাগ করে এমন অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলছেন, চিকিৎসকদের প্রোটেকশনের জন্য সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
কামরুল আজাদ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, আমাকে এন-৯৫ মাস্ক দিন অথবা মৃত্যুর মাধ্যমে পালাতে দিন। লোক দেখানো বাজারের ব্যাগের কাপড় দিয়ে তৈরি গাউন দেয়া বন্ধ করুন।
বিষয়টি নজরে আসার পর সময় সংবাদের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজাদ বলেন, আমি এ স্ট্যাটাসটি দিয়েছি এন-৯৫ মাস্কের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। এই হাসপাতালে বর্তমানে তিনজন করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া সন্দেহজনক ২৩ জন ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের কর্মরতদের তাদের সেবা করতে হচ্ছে আংশিক প্রোটেকশন নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, আমার টিমমেটরা মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমার টিমটেমটরা সুরক্ষিত না থাকলে কাজ করবেন কীভাবে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সুরহা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক সোহরাব উদ্দীন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ চিকিৎসকদের প্রোটেকশনের জন্য কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না। তারা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমি বরগুনা সদর হাসপাতালে কর্মরতদের প্রোটেকশনের জন্য ইক্যুয়েপমেন্ট সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। আমাকে বলা হয়েছে, নাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।