স্পোর্টস ডেস্ক : এ বছর ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফি উঠবে কার হাতে? এখনই উত্তর খোঁজা হয়তো একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যায়। কেননা বছর শেষ হতে এখনো ঢের বাকি। তা ছাড়া ইতোমধ্যেই এ বছর সেরার দাবিদার হয়ে উঠেছেন কয়েকজন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার মতো খেলোয়াড়ের অভাব নেই।
তাদেরই একজন রবার্ট লেভানডফস্কি। বলতে গেলে সেরার দৌড়ে এই মুহূর্তে এগিয়ে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ এই স্ট্রাইকার। প্রান্তসীমায় আসা মৌসুমে স্বপ্নের ফর্মে আছেন তিনি। বাভারিয়ানদের হয়ে ৪৪ ম্যাচে করেছেন ৫১ গোল। মৌসুমজুড়ে গোলের হিসেবে লেভানডফস্কির ধারেকাছেও কেউ নেই! যদিও সেরা ফুটবলারের মানদণ্ড শুধু এ বছরের পারফরম্যান্স।
৩২ ছুঁই ছুঁই এই স্ট্রাইকারের ক্যারিয়ার সেরা ফর্মের ওপর দাঁড়িয়ে কার্যত ‘ট্রেবল’ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বায়ার্ন মিউনিখ। শিষ্যের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি বাভারিয়ানদের প্রধান কোচ হান্সি ফ্লিক। এতোটাই যে, ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অরের ট্রফি লেভার হাতে দেখছেন তিনি! শিষ্যকে অনুপ্রাণিত করতেই হয়তো এমন স্বপ্ন দেখছেন ফ্লিক।
বায়ার্ন মিউনিখ কোচ বললেন, ‘ইতোমধ্যে ৫১টি গোল হয়ে গেছে। ভাগ্যও ওকে সহায়তা করছে। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ও খুব আত্মবিশ্বাসী। বুন্দেসলিগায় এই মৌসুমে লেভি ৩৪ গোল করেছে। আপনি ভাবতে পারেন যে কীভাবে বুন্দেসলিগা থেকে কেউ ব্যালন ডি’অর জিততে পারে। অবশ্যই কেন নয়? এ বছর এটা জয়ের জন্য ও এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে। ওর জন্য আমার শুভকামনা রইল।’
বুন্দেসলিগায় ৩৪ গোল করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগে ১১ বার জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন লেভা। বাকি গোলগুলো এসেছে জার্মান কাপ থেকে। এই মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে লেভার পক্ষে বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়াটা বিস্ময়কর কিছু হবে না।
বর্ষসেরার লড়াইয়ে লেভার সেরা সাফল্য ২০১৫ সালে চতুর্থ সেরা হওয়া। এরপর লম্বা সময় আলোচনায় আসতে না পারলেও এবার ব্যালন ডি’অর জয়ে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি। লেভা জিততে পারলে ক্লাবের ৩৯ বছরের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে বায়ার্ন মিউনিখ। সবশেষ ১৯৮১ সালে বাভারিয়ানদের হয়ে মর্যাদার এই ট্রফিটি জিতেছিলেন কার্ল-হেইঞ্জ-রুমিনিগি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।