জুমবাংলা ডেস্ক : এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ সোমবার (০৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন পদ্ধতিতে আগামী ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) একযোগে দেশব্যাপী ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবছর মাত্র দুই পাতার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র হবে ভিন্ন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিএমডিসি-এর সভাপতি শহীদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর সরকারি ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৬৮ আসন ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছয় হাজার ৩৩৬ আসনসহ মোট ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় সাত হাজার ৯ জন বেশি।
ঢাকা মহানগরের পাঁচটি কেন্দ্রের ১১টি ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন পরীক্ষার্থী এবং ঢাকার বাইরে ১৫টি জেলায় ৩৬ হাজার ৯৪৩ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, আগে আট পৃষ্ঠা থাকলেও এবছর মাত্র দুই পাতার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র হবে ভিন্ন।
তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্র ও ভেন্যুর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়; জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ এবং পরীক্ষার আগের দিন রাত ১০টা থেকে পরীক্ষার দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতিসীমিত রাখার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বিটিআরসিকে সুপারিশ করা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ জানান, এবছর প্রশ্নপত্র প্রণয়নে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রেরণের জন্য ট্রাংকের সঙ্গে সংযুক্ত ট্র্যাকিং ডিভাইসসমূহ প্রস্তুত করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারি জোরদার করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পরীক্ষার দিন ৯টার মধ্যে এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাদের সকাল ৮টার আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে আবশ্যিকভাবে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কেন্দ্রসমূহ তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০৭ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে কেন্দ্র ও ভেন্যুভিত্তিক টিম গঠন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিদর্শনকারী টিমসহ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, হেডফোন, ব্লু-টুথসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।