জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক শিশুকে খতনা করানোর সময় গোপনাঙ্গের মাথার চামড়ার অংশ একটু বেশি কাটার ফলে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়েছে।
বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত হলেও ঘটনার পরপরই পালিয়েছে চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী শিশুর নাম আল নাহিয়ান তাজবীব (৭)। সে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ক্যাপ্টেন আব্দুর রহমান বাড়ির আলমগীর হোসেন বাদলের ছেলে এবং বসুরহাট পৌরসভা এলাকার চাইল্ড কেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
ভুক্তভোগী শিশুর জেঠা শেখ ফরিদ জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাজবীবের বাবা তার সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে নিয়ে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ঐ সময় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে ও সৌরভ ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে সুন্নতে খতনা করার সময় শিশুটির গোপন অঙ্গের মাথার চামড়া বেশি কেটে ফেলেন। এতে অতিরিক্ত রক্তপাত হয় শিশুটির।
পরবর্তীতে ছেলের বাবার সন্তানের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন রক্তপাতে কেবিনের বিছানা ভিজে গেছে। একপর্যায়ে কৌশলে দুই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক আমি জরুরি বিভাগে যাই। লিঙ্গের চামড়া একটু বেশি কেটে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়েছে। বর্তমানে শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।