স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ৫ রানে হারে টাইগাররা।
শ্বাসরুদ্ধ ওই লড়াইয়ে বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে “ফেক ফিল্ডিং”-এর অভিযোগ উঠে। যা আলোচিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমেও।
ফক্স নিউজ, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, নিউজ ডট কম, সেভেন নিউজ, নাইন স্পোর্টস, দ্য এজসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেভেন স্পোর্টস তাদের শিরোনামে লিখেছে, “কোহলির বিরুদ্ধে ‘ফেক ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ, যা আম্পায়ারদের নজরে আসেনি।”
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি লিখেছে, “ক্রিকেট আইনে ‘ফেক ফিল্ডিং’-এর জন্য পাঁচ রানের পেনাল্টি আছে। বিষয়টি আম্পায়ারদের নজরে এসে পাঁচ রান পেনাল্টি পেতে পারত বাংলাদেশ।”
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড শিরোনাম করেছে, “ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত কোহলি”।
নাইন স্পোর্টস তাদের ব্যানার হেডলাইনে লিখেছে, “বাংলাদেশ বিরাট কোহলিকে ‘অন্যায়’ পদক্ষেপে ‘ভুয়া ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ করেছে।”
ইনিংসের সপ্তম ওভারের সময় বাংলাদেশি ব্যাটার লিটন দাস আকসার প্যাটেলের বলকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে ঠেলে দেন। আর্শ্বদীপ সিং বলটি স্ট্রাইকারের প্রান্তে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে দুই রান নেন ব্যাটাররা।
দ্বিতীয় রান শেষ হওয়ার মুহূর্তে পয়েন্টে দাঁড়ানো কোহলি তার পাশ দিয়ে বলটি চলে গেলেও তিনি তা স্ট্রাইকারের প্রান্তে থ্রো করার ভান করেছিলেন।
উইকেটে থাকা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত তাৎক্ষনিক আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন । তবে আম্পায়ার তাকে জানান, তিনি এরকম কিছু দেখেননি।
যদিও ভিডিওতে দেখা গেছে, লেগ আম্পায়ারের খুব কাছেই ছিলেন কোহলি।
ওইদিন ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফেক ফিল্ডিং প্রসঙ্গে সোহান বলেন, “মাঠ যে ভেজা, বাইরে থেকে আপনারাও দেখছেন, আমরাও দেখছি। আমার কাছে মনে হয় যে, আমরা যখন কথা বলি… একটা ফেক থ্রোও ছিল। যেটায় পাঁচ রান পেনাল্টি হয়তো হতে পারত। যেটা আমাদের দিকে আসতে পারত। দুর্ভাগ্যবশত সেটাও আসেনি।”
ক্রিকেট আইনের ৪১.৫.১ ধারায় বলা আছে, “স্ট্রাইকার বল খেলার পর কোনো ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজ দ্বারা যেকোনো ব্যাটারের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার বা ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি ‘আনফেয়ার প্লে’ বলে বিবেচ্য হবে।”
এ বিষয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক হারশা ভোগলে টুইটারে লিখেছেন, “আসলে বিষয়টি কেউ খেয়ালই করেনি। আম্পায়াররাও না, ব্যাটসম্যানরাও না এমনকি আমরাও (ধারাভাষ্যকাররা) না। ৪১.৫ আইনে আছে যে ফেক ফিল্ডিং হলে আপনাকে পেনাল্টি রান দেবেন আম্পায়াররা। কিন্তু কেউ তো দেখেইনি। এখন আপনার কী করার আছে।”
এ ঘটনায় টুইট করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট সাংবাদিক ফরিদ খান। তিনি তার টুইটে লিখেছেন, “এটা চেক করার প্রয়োজন ছিল। বিষয়টিকে গুরুতর ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। এর আগে (দক্ষিণ আফ্রিকার) কুইন্টন ডি কক পাকিস্তানের সঙ্গে এমন করেছিলেন। আমি মনে করি এই ঘটনা শাস্তির আওতায় আনা দরকার।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।