জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী রূপ নেয়া এবং দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজার ও পতেঙ্গা সৈকতে পর্যটক আগমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেছেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার সুযোগে কিছু অতি উৎসাহী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশের এই পর্যটন স্পটে ঘুরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলো প্রায় ফাঁকা পড়ে আছে। অনেকেই করোনার কারণে হোটেল বুকিং দিয়েও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দিয়েছেন, দিচ্ছেন। এ
ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ বুধবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতেও জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এদিকে করোনার প্রভাবে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পাহাড়ে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হলেও এখন প্রায় পর্যটকশূন্য।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেছেন, সরকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে বাসায় থাকার এবং শিশুদের করোনাভাইরাস থেকে যতটুকু সম্ভব মুক্ত থাকার জন্য। কিন্তু লোকজন সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের প্রতি সমর্থন না জানিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পর্যটক আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে বাতিল হচ্ছে বুকিং : খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরপরই কমে গেছে পর্যটকের আগমন। তারা অগ্রীম বুকিং বাতিল করে দিয়েছে, কমে গেছে বিকিকিনি।
পতেঙ্গা সৈকতেও জনসমাগম নিষিদ্ধ : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, সতর্কতার অংশ হিসেবে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে সবধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। দুপুরে সিএমপির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাও বন্ধ : এদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাও আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন এ সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।