বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: চাঁদকে ঘিরে যে গভীর অনুসন্ধান-পর্ব ইদানীং চলছে, তার অন্যতম, চাঁদে বাসযোগ্য স্থানের সন্ধান। সেই সন্ধানে নেমে তাজ্জব মানুষ! কেন তাজ্জব সেটা বলার আগে একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ভয়াবহ। দিনের বেলা ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাতে মাইনাস ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস! ভয়ানক প্রতিকূল পরিস্থিতি। এই প্রতিকূলতার মধ্যে এবং বাতাসশূন্য পরিবেশে মানুষের পক্ষে বাঁচা প্রায় সম্ভবই নয়। কিন্তু চাঁদের বুকে যে বড়োসড়ো গর্তগুলি রয়েছে, তার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ওই সব গর্তেই চন্দ্রাভিযানের ঘাঁটি তৈরি করা যেতে পারে। এগুলিকেই এখন চাঁদের গুহা বলা যায়। এই গুহাগুলিই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের ঠিকানা হতে পারে। অর্থাৎ, সেই হিসেবে আধুনিক মানুষ হয়তো ফের চাঁদে ‘গুহামানবে’ পরিণত হবে!
‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস’ জার্নালে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, চাঁদের মাটিতে দীর্ঘমেয়াদি অভিযান চালাতে গেলে এবং সেই অভিযানের কারণে সেখানে বাসবাসের প্রয়োজন পড়লে চাঁদের ওই গুহাগুলিই হতে পারে স্থিতিশীল ও নিরাপদ আশ্রয়। চাঁদের মেয়ার ট্রানকুইলিটেটিস এলাকায় এই ধরনের একটি বড় আকারের গুহা নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা চলছে।
গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, সূর্যালোক সরাসরি না পৌঁছনোয় চাঁদের এই সব জায়গায় আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূল। ১০০ মিটার গভীরতার ও আকারে ফুটবল স্টেডিয়ামের মাপের একটি গুহা নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কম্পিউটার অ্যানালিসিসের সাহায্যে এই সব গুহায় তাপমাত্রা কেমন, গরম কেমন, সেখানে লুনার ডাস্ট কেমন– ইত্যাদি সেই সব অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মজা করে বলছেন, সভ্যতার প্রারম্ভিক পর্বে আমাদের পূর্বপুরুষরা যেমন গুহায় থাকত, আগামী দিনে চাঁদে হয়তো আধুনিক মানুষকে সেই রকম গুহাতেই ফিরতে হবে।
কেমন হবে, যদি সত্যিই তেমন ঘটে? আপাতত অপেক্ষা করা যাক।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এবার সবথেকে বড় নিউট্রন স্টারের খোঁজ দিলেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।