বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় দিনের বেলা তারা দেখেছেন, উত্তর অবশ্যই ‘না’ হবে। তবে এই মহাবিশ্বে কোনও কিছুই অসম্ভব নয় বলেই মনে হয়। কারণ এবার দিনের বেলাতেও তারা দেখা যাবে আকাশে, তাও আবার খালি চোখেই।
এই সপ্তাহে এই আশ্চর্য নক্ষত্র তার সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতায় (Peak Brightness) পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাই খালি চোখে সহজেই দৃশ্যমান হবে এটি। এই বিস্ময়কর তারাটির নাম হল মিরা (Star Mira)।
এটি সিটাস নক্ষত্রমণ্ডলে (Constellation Cetus) অবস্থিত। এই তারাটিকে বিস্ময়কর বলার কারণ রয়েছে যথেষ্ট। প্রায় ৩৩২ দিন বা প্রায় ১১ মাসের ব্যবধানে উজ্জ্বলতা প্রায় ২৫০ গুণ পরিবর্তিত হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এটির।
এই সময়কালের মধ্যে মিরার উজ্জ্বলতা নানা মাত্রায় পরিবর্তন হয়। নবম মাত্রা (Magnitude) বা তার কম (শুধুমাত্র একটি টেলিস্কোপ দিয়ে দৃশ্যমান) থেকে তৃতীয় বা চতুর্থ মাত্রার (কোনও অপটিক্যাল সাহায্য ছাড়াই দৃশ্যমান) উজ্জ্বলতায় পরিবর্তিত হয় এটি।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ভ্যারিয়েবল স্টার অবজার্ভারস (American Association of Variable Star Observers) জানিয়েছে, আগামী ১৩ জুলাই মিরা তার সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতায় পৌঁছবে।
৩.৪ মাত্রার উজ্জ্বলতায় মিরাকে খালি চোখেই দেখা যাবে। যদিও এটি মনে করা হচ্ছে যে এবার ৩.৪ মাত্রার পূর্বাভাসকে অতিক্রম করতে পারে মিরা। অনুমান করা হচ্ছে যে ২৬ জুন মিরার উজ্জ্বলতা ছিল ৩.৭ মাত্রায়।
এটা খুবই সম্ভব যে বর্তমান গতিতে উজ্জ্বল হতে থাকলে মিরা জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ দ্বিতীয় মাত্রার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। সেই সময় দ্বিগুণেরও বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। গত বছরের অগাস্টে মিরাকে ২.১ মাত্রার উজ্জ্বলতায় দেখা গিয়েছিল।
কোথায় দেখতে পাওয়া যাবে মিরাকে?
মিরা সিটাস নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত, যা আসলে একটি শারদ নক্ষত্রমণ্ডল (Fall Constellation) হিসাবে স্বীকৃত। নভেম্বরে সন্ধ্যার সময় দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে মিরাকে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। তবে, জুলাই মাসে ভোর হওয়ার আগে উঠতে হবে। স্থানীয় সময় প্রায় সাড়ে তিনটে থেকে চারটের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে তাকালে মিরার দেখা পাওয়া যাবে।
সূত্র: নিউজ১৮
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর নতুন ছবি: ধুলা ও আলোর স্তর দ্বারা আবৃত মৃত নক্ষত্র
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।