যুক্তরাষ্ট্রে আরও এক ডজন চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, চীনের সামরিক বাহিনীর কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রোগ্রাম উন্নয়নে এই কোম্পানিগুলো কাজ করে যাচ্ছে। গুপ্তচরবৃত্তি ঠেকাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতিকে প্রাধান্য দিতেই তাদের এমন সিদ্ধান্ত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ান ছাড়াও অন্যান্য ইস্যুতে চীনের সঙ্গে বিরোধের ফলে মার্কিন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ইস্যুতে এই দুই দেশের নেতাদের মাঝে এক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এর আগে মার্কিন সামরিক প্রযুক্তির আদলে চীনা সামরিক সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করায় আট চীনভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে তথাকথিত কালো তালিকাভুক্ত করেছিল দেশটির সরকার। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে দেশটিতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এ ছাড়া পাকিস্তানে অনিরাপদ পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে জড়িত থাকার কারণে চীন ও পাকিস্তানের ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থাকে একই বিধিনিষেধের আওতায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ।
চীন, জাপান, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে মোট ২৭ ব্যক্তি ও সংস্থা এই তালিকায় আছে। মস্কোর ইনস্টিটিউট অব ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজিকেও যোগ করা হয়েছে এই তালিকায়। তাতে থাকা সংস্থাগুলোর অন্য কারও কাছে সরঞ্জাম বিক্রি করতে হলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। যদিও আবেদনগুলোতে অনুমতি না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়েকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি দাবি করে ২০১৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল মার্কিন সরকার। যদিও গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।