জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার ধামরাই উপজেলায় স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের ইটভাটায় নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
এদিকে মামলা না করতে ওই নারীকে হুমকি দিচ্ছে ধর্ষণে অভিযুক্ত জিন্নত আলী ও তার বাবা নান্নু মিয়া। হত্যার হুমকি পেয়ে ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়েরেরও সাহস পাচ্ছেন না। গর্ভে থাকা অনাগত সন্তান্তের পিতৃপরিচয় কী হবে- এ নিয়েও দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে ওই নারীর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শাসন গ্রামের বাসিন্দা জিন্নত আলীর বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকাবাসী জিন্নত আলী ও তার বাবার বিচারের দাবি তুলেছে।
অন্যদিকে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ তিন কন্যা সন্তানের মা। দুই বছর আগে তার স্বামী খুন হয়। তিন সন্তান নিয়ে অর্থাভাবে দিন কাটে ওই নারীর। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে তিনি কাজ নেন আমতা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের ‘এফ টু এফ’ নামের ইটভাটায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাঝেমধ্যেই ওই ইটভাটায় যাতায়াত ছিল জিন্নত আলীর। একদিন দুপুরবেলা ওই নারীকে ঘরের ভেতর একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জিন্নত। চিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। পিতৃহারা তিন সন্তানের কথা ভেবে ওই নারী তখন মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য করেন।
ঘটনার পাঁচ মাস পর শরীরে পরিবর্তনের লক্ষ্য দেখা দিলে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লজ্জায় ইটভাটার কাজে যাওয়াও বন্ধ করে দেন ওই নারী। তিন সন্তান নিয়ে এখন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তার।
ধর্ষণে অভিযুক্ত জিন্নত আলীর বাবা নান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০ বছর আগে তার ভাগ্নে সেলিমের স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলায় বেশ কয়েকবছর কারাভোগও করেছেন নান্নু মিয়া। যে কারণে এবার জিন্নতের বিরুদ্ধে মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর দাবি, ‘ঘটনা প্রকাশ করলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে জিন্নত। এতদিন আমি কাউকে কিছু বলিনি, মামলাও করিনি। এখন জিন্নতের বাবা নান্নু মিয়াও আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তারা আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চাপ দিচ্ছে। আমি আমার গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় দাবি করছি।’
তবে ইটভাটায় ধর্ষণের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন আমতা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেছেন, ‘এখনও কেউ এমন অভিযোগে থানায় মামলা করেনি। মামলা দায়ের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন খারাপ লোককে কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।