জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক ডিডি আহসান আলীর বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের পক্ষে মামলাটি করেন কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জিএম আশরাফুল ইসলাম।
বেনাপোল কাস্টমস অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের ভুয়া ডিজি পরিচয়দাতা আহসান আলীকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জিএম আশরাফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আহসান আলীর অর্থ বিনিয়োগে রিতু ইন্টারন্যাশনাল ও জেড এইচ কর্পোরেশনের নামে আমদানি করা ৩১টি পণ্যচালানের বিপরীতে ২ কোটি ২ লাখ ৭০৮ টাকার রাজস্ব ফাঁকির তদবিরে ব্যর্থ হয়ে বেনামে দুদুক, রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। ফলে কাস্টমস হাউসের কমিশনার শুল্কায়ন কাজে মনোনিবেশ করতে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি অর্থবছরে আগস্ট মাস পর্যন্ত ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়।
এর আগে তিনি মোবাইলে ফোন করে কমিশনারসহ এ দফতরের অন্য কর্মকর্তাদের ভয়-ভীতি, এসএমএস এবং গত বছরের ১৯ নভেম্বর সশরীরে এসে কমিশনারকে চাপ সৃষ্টি করেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে কমিশনারের কক্ষে তার উপস্থিতিকাল মোবাইলে ভিডিও করে রাখা হয়। ভিডিও ক্লিপ, অডিও ক্লিপ ও হুমকির এসএমএস মামলার সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়।
সম্প্রতি বেনাপোল কাস্টমস হাউস কর্তৃক আটককৃত ২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৬৭ মণ (আড়াই মেট্রিক টন) ভায়াগ্রা ছেড়ে দেয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত একটি মহল ও আহসান আলীর নেতৃত্বে চোরাকারবারী এবং সাংবাদিক নামধারী একটি সংঘবদ্ধ চক্র কমিশনার ও বেনাপোল কাস্টম হাউসের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
জিএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, হয়রানি, শত্রুতামূলক প্রতিহিংসা চরিতার্থের জন্য আহসান আলী দুদকের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নাম, পদবি ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছেন। কোনো প্রকার প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কমিশনারের বিরুদ্ধে বেনামী চিঠি দুদকসহ শতাধিক দফতর ও মিডিয়ায় বিতরণ করে বেনাপোল কাস্টম হাউস ও উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার সম্মানহানি করা হয়েছে।
এদিকে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা বলে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, বেনাপোল পোর্ট থানায় আহসান আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।