আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘ট্রুথ সোশ্যাল’। নতুন এই প্ল্যাটফর্মটি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী মতকে চুপ করিয়ে দিচ্ছে।
ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ টিএমটিজি বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেটওয়ার্ক ছাড়াও তারা একটি ভিডিও-অন-ডিমান্ড সার্ভিস সাবস্ক্রিপশন চালু করার কথা ভাবছে।
জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ফেসবুক। ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের ওই হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তখন সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। একই সময়ে টুইটারও তাকে নিষিদ্ধ করে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে।
সহিংসতায় আরও উস্কানি দেওয়ার আশঙ্কায় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট অ্যাট রিয়েল ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রচলিত গণমাধ্যম এড়িয়ে সরাসরি সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য টুইটার ব্যবহার করে আসছিলেন ট্রাম্প।
টুইটারে প্রায় ৯ কোটি অনুসারী ছিল সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। মূলত ওই সময় থেকেই ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন যে, তারা ভিন্ন সামাজিক মাধ্যম চালু করবেন।
বছরের শুরুর দিকে তিনি ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প নামে একটি অনুষ্ঠান চালু করেছিলেন। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সেটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের সহযোগী জেসন মিলার বলেন, এটা ছিল আমরা বড় পরিসরে যা নিয়ে কাজ করেছি এবং করছি তারই একটি অংশ।
টিএমটিজি এক বিবৃতিতে বলেছে, ট্রুথ সোশ্যালের প্রাথমিক ভার্সন আগামী মাস থেকে চালু করা হবে এবং সেটি হবে কেবলমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য। এরপর ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
ট্রাম্প লিখেছেন, আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি যেখানে টুইটারে তালেবানদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে, কিন্তু জনপ্রিয় একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তারা চুপ করিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাকে সবাই প্রশ্ন করে কেন বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি না। বেশ, আমরা খুব শিগগির সেটা করতে যাচ্ছি। ট্রাম্পের এই ঘোষণা এমন এক সময় এলো যখন কয়েক মাস আগেই তার সহযোগী জেসন মিলার আরেকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।