স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপে ফাইনালে ভুল দিয়ে শুরু করেন দুই আম্পায়াররা। দায়িত্বে থাকা কুমার ধর্মসেনা কিংবা মারিয়াস ইরাসমাস কেউ সঠিক ছিলেন না। কিউই ওপেনার হেনরি নিকোলাসকে ভুল লেগ বিফোর দেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। কেন উইলিয়ামসন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে বুঝতে পারেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে আউট পায় ইংল্যান্ড। রস টেইলর আবার ভুল আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে আউট হন। কিন্তু দুই আম্পায়ার চূড়ান্ত ভুল করেছেন শেষ ওভারে।
গাপটিলের করা ওভার থ্রোতে ইংল্যান্ডকে ছয় রান দেন কুমার ধর্মসেনা। নিয়ম অনুযায়ী ইংল্যান্ডের প্রাপ্য পাঁচ রান। কিন্তু ইরাসমাসের সঙ্গে আলাপ করে ধর্মসেনা ছয় রান দেন। ওই এক রান ভুল করে বেশি না দিলেই হয়তো মুকুট উঠতো কিউইদের মাথায়।
আইসিসির ১৯.৮ ধারার ওভার থ্রো’তে রান যোগ করার নিয়ম বর্ণিত আছে। তাতে বলা হয়েছে, যদি ফিল্ডারের ওভার থ্রো থেকে বাউন্ডারি হয় কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের গায়ে ফিল্ডার বল মারেন তবে দু্ই ব্যাটসম্যান দৌড়ে যে রান নেবেন, সেই রানের সঙ্গে ওভার থ্রো বা জরিমানার রান যোগ হবে। সেক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক থ্রো’র সময় দুই ব্যাটসম্যান একে অপরকে ক্রস করেছেন কি-না দেখা হবে সেটা।
বিতর্কের বিষয় এখানেই, থ্রো’র সময় কতবার একে অপরকে ক্রস করেছেন দু্ই ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে ওভার থ্রো বা জরিমানার রান যোগ করা হবে। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে গাপটিল যখন বল থ্রো করেন তখন দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড়ানো বেন স্টোকস এবং আদিল রশিদ একে অপরকে ক্রস করেননি। এরপর দ্বিতীয় রানের জন্য স্ট্রাইক প্রান্তে ফেরা গাপটিলের ব্যাটে বল লেগে চার হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী তাই পাঁচ রান পাওয়া উচিত ইংল্যান্ডের। কিন্তু দেওয়া হয়েছে ছয়।
এ নিয়ে সাবেক আম্পায়ার এবং এমসিসি ল’য়ের সাব-কমিটির সদস্য সাইমন টফেল জানান, এটা মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার বুঝে উঠতে পারেননি। তিনি ফক্স স্পোর্টসকে বলেন, ‘এটা পরিষ্কার ভুল। তারা বিষয়টি বিচার করতে ভুল করেছেন। মাঠে যে উত্তাপ চলছিল। তার ওপর দুই ব্যাটসম্যান দ্রুত রান নিয়েছেন, ব্যাটসম্যানদের দুই রান পূর্ণ হওয়ার বড় সম্ভাবনা ছিল। ওই মুহূর্তে ব্যাটসম্যানের রান নেওয়ার দিকে খেলাল করতে হবে। বল থ্রো’র দিকে খেলায় করতে হবে। তারপর থ্রো’র সময় একে অপরকে ক্রস করেছে কি-না দেখতে হবে। আম্পায়ারদের জন্য কঠিন এক কাজ।’ সূত্র : সমকাল

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।