জুমবাংলা ডেস্ক : জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম একে একে বাড়তে শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার বেড়েছে দেশি ও বিদেশি ফলের দাম।বিদেশি ফলে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর দেশি ১০ থেকে ২০ টাকা।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাজার, মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকার ফলের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাজারে দেখা যায়, আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, সবুজ আপেল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা, কমলা ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, নাশপাতি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, সবুজ আঙুর ৫০০ টাকা, লাল আঙুর ৪০০ টাকা, আনার ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মালটা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
পল্লবী এলাকার কালশী রোডের ফল বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিদেশি ফল আপেল, কমলা, নাশপাতি, আঙুরের দাম বেড়েছে। কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বিদেশি ফলের ক্ষেত্রে পরিবহন খরচ একটু বেড়েছে। দেশি ফল এক বাক্স আনতে খরচ বেড়েছে ২০ টাকা।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের ফল বিক্রেতা মো. মঞ্জিল শেখ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগে থেকেই বেড়েছে ফলের দাম। তেলের দাম বাড়ার অন্তত ২০ দিন আগে বেড়েছে ফলের দাম।
ফল বাড়তি দামে বিক্রির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু ফল বিক্রেতা বেশি লাভের আশায় তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে বেশি দামে ফল বিক্রি করছেন। আসলে তেলের দাম বাড়ার কারণে ফলের দাম বাড়েনি।
এদিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের মো. নাসির নামে আরেক ফল বিক্রেতা বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে ডলার ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে ফলের দাম একটু বেড়েছে। আহামরি দাম বাড়েনি। কিছু কিছু বিক্রেতা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাত দিয়ে ফলের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। আপেলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে লাল আঙুরের দাম ঠিকই কমেছে এ কথা তো কেউ বলে না। এক সপ্তাহ আগে চায়না লাল আঙুরের কেজি বিক্রি হতো ৫০০ টাকা। এখন বাজারে লাল আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
সকালে মা বলে ডাকে রাতে বিছানায় ঘুমানোর প্রস্তাব দিত মহেশ ভাট!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।