বিনোদন ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার মহেশ বাবু। ১৯৭৯ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লেখান। সেই যাত্রা এখনো চলমান। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে গেছে তার খ্যাতি। লাখ লাখ দর্শকের মুঠো মুঠো ভালোবাসা পেয়েছেন এই নায়ক।
পরিবার ও কাজ নিয়ে বছরজুড়েই ব্যস্ত থাকেন মহেশ বাবু। কিন্তু চলতি বছরটি তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন ও বেদনাবিধুর! কারণ এই বছরে মহেশ তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ও ভালোবাসার কয়েকজন মানুষকে হারিয়েছেন। হারানোর এই ব্যথা যেকোনো মানুষের জন্য ভীষণ কঠিন।
প্রতিটি মানুষ নতুন বছর নতুন উদ্যম নিয়ে শুরু করেন। সাজিয়ে রাখেন বাহারি স্বপ্ন। কিন্তু ২০২২ সালটি দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহেশ বাবুর। গত ৮ জানুয়ারি আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার বড় ভাই অভিনেতা রমেশ বাবু। তারপর দ্রুত তাকে হায়দরাবাদের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রো এন্টোমোলজি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্যক্তিগতভাবে রমেশ বাবুর সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল মহেশ বাবুর। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে রমেশের প্রয়াণে মানসিকভাবে আহত হন এই নায়ক।
ভাই হারানোর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই পরিবারের আরেক প্রিয়জনকে হারান মহেশ বাবু। ৯ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যান মহেশ বাবুর মা ইন্দিরা দেবী। বার্ধক্যজনিত কারণে হায়দরাবাদে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন; গত ২৮ সেপ্টেম্বর সেখানে মারা যান তিনি। যেকোনো সন্তানের কাছে মায়ের মৃত্যু শোক কাটিয়ে ওঠা কতটা কঠিন তা ব্যাখ্যাতীত!
মহেশের মা হারানোর ক্ষত এখনো দগদগে। তারপরও স্বাভাবিক হওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। এরই মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তার বাবা অভিনেতা কৃষ্ণা। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করার কোনোরকম কমতি রাখেননি। কিন্তু কোনো কিছু্ ফেরাতে পারেনি এই সুপারস্টারকে। সব বাঁধন ছিন্ন করে ১৫ নভেম্বর পরপারে পাড়ি জমান তিনি। মহেশের বাবা-মা যেন জুটি বেঁধেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। বাবার মৃত্যু সংবাদটি মহেশের হৃদয়ে চূড়ান্ত আঘাত দিয়েছে; যে কষ্টের কথা তার চোখ-মুখে জ্বলজ্বল করছে!
৫০ দিনের যাত্রাপথ : উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আসাম যাবে প্রমোদতরী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।