দিনাজপুর প্রতিনিধি: এবার পাবনার মেধাবী শিক্ষার্থী মোছা. জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার খরচ বহনের দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
এর আগেও তিনি মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। জাতীয় সংসদ থেকে যে ভাতা পান তিনি সেই অর্থ দিয়ে প্রতি বছর মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে করে আসছেন দিনাজপুর সদর আসনের এই সংসদ সদস্যঅ
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন মোছা. জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী। শিক্ষা জীবন জুড়েই অভাব অনটনে আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল মুন্নীর নিত্যসঙ্গী। মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেও সেই আর্থিক দুশ্চিন্তাই তাকে ঘিরে ধরেছিল।
গত ৮ এপ্রিল সকালে মুন্নী এবং তার পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন হুইপ ইকবালুর রহিম। তখন ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন মুন্নীর বাবা, মা ও চাচা। দীর্ঘ আলাপের পরে হুইপ তাদের আশ্বস্ত করে বলেন মুন্নীর মেডিকেল কলেজে ভর্তিসহ সমস্ত খরচ তিনি বহন করবেন।
মুন্নীর বাবা বাকী বিল্লার বলেন, ‘এখন আমি চিন্তামুক্ত। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে অনেকেই আমার মেয়ের শিক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছেন। হুইপ সাহেব আমাক ফোন দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলিছি আমরা সবাই। তিনি আমার মেয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা তার অধীনেই ওই মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার জন্য মনস্থির করেছি।’
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত সংসদ সদস্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ আমার প্রয়াত বাবার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামকরণ করেছেন। গণমাধ্যমে সংবাদটি দেখার পর আমি ওই অদম্য শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চিন্তামুক্ত করেছি। তার মেডিকেল কলেজের শিক্ষা গ্রহনের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে সেটা আমি বহন করবো।’
মেধাবী মুন্নী পাবনার পোড়াডাঙ্গা হাজী এজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ছোটবেলা থেকেই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি অধিকাংশ সময়ই লেখাপড়ার পিছনে ব্যয় করেছেন।
মুন্নী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের বাকীবিল্লাহ ও মোছা. রওশন আরা খাতুনের মেয়ে। ৪ সন্তানের মধ্যে মুন্নী বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মুন্নীর পিতা একজন দরিদ্র ভ্যানচালক। মুন্নীর পিতার নিজ বাড়ির ২ কাঠা জায়গা ছাড়া তেমন কিছুই নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


