আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইটের বদলে পাটকেল নীতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মার্কিন-চীন উত্তেজনা। সম্প্রতি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীনের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও চেংদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। বিবদমান দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্কে দেখা দিয়েছে নতুন উত্তেজনা।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদুতে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া অযৌক্তিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় চেংদুতে কনস্যুলেট বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত।’
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এখনো এর আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরির অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার টেক্সাসের হাউস্টন শহরে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট বন্ধে বেইজিংকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দেয় ওয়াশিংটন। ফলে বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে ভঙ্গুর সম্পর্ক আরও সংকটে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই ঘোষণা দিয়ে জানায়, মার্কিন ‘মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উসকানি’ এবং ‘নজিরবিহীন স্পর্ধা’ বলে নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় চীন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে এমন বেইজিং এমন সিদ্ধান্ত নিল।
দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যকার কয়েক দশকের ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব সম্পর্ক’ যে এখন সংকটের তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের এমন ঘটনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।