জুমবাংলা ডেস্ক: রাজশাহীর চারঘাটের হলিদাগাছী এলাকায় তেলবাহী ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খবর পেয়ে রাজশাহী রেলওয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন।
এদিকে রেললাইন সংস্কারের নামে লুটপাটের কারণেই ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন খোদ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রাজশাহীর স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, চারঘাটের সরদাহ স্টেশন পার হয়ে কিছু দূরে আসার পরে পশ্চিম দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী স্টেশনের দিকে ছেড়ে যায় তেলবাহী একটি ট্রেন। ট্রেনটি সারদাহ স্টেশন পার হয়ে প্রায় দেড় কিলোমটার দূরে হলিদাগাছি রেলগেটের পশ্চিমে হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এতে ট্রেনের ৯টি বগি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে লাইন আঁকা-বাঁকা হয়ে যায়। ফলে ট্রেনটি আটকে যায় সেখানেই। এতে করে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে রাজশাহী রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এই লাইনটি সম্প্রতি কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের নামে বিপুল টাকা লুটপাট করা হয়। এই লুটপাটের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী। তার তিন বছরে এই অঞ্চলে শুধু লাইন সংস্কারের নামে আন্তত ৪০০ কোটি টাকা লোপাট হয়। এলটিএমের মাধ্যমে টেন্ডার ছাড়ায় নামকায়াস্তে উন্নয়ন করে এ টাকা লোপাট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত করছে দুদক।
এছাড়াও লাইনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনার নামেও লুটপাটে মেতে ওঠে রেলওয়ের সরঞ্জম শাখা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে এ নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ করেছেন রেলের ঠিকাদাররা। কেনাকাটার নামে তিনি বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। গত বছরে শুধু এলটিএমের মাধ্যমে অন্তত ২০ কোটি টাকা এই কর্মকর্তার দপ্তরের মাধ্যমে লোপাট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে এবং প্রয়োজন ছাড়া কোনো প্রকল্পে টাকা লোপাট করা হয়, তার কিছু অংশ তুলে ধরা হয় অভিযোগে।
এছাড়াও পশ্চিমাঞ্চল রেলের সেতু সংস্কারের নামে লুটপাটের অভিযোগ ওঠে আরেক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও।
তবে কেনাকাটার নামে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন বেলাল উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কেনাকাটা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে সেতু প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নাই।সূত্র: কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।