লবণের মোড়কে মুদ্রিত ছিল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা। কিন্তু গুজবকে পুঁজি করে সেই লবণ এক দোকানি বিক্রি করে ৫০ টাকা, অপর দোকানি ৬০ টাকা। এরপর দুই ক্রেতা রশিদ, প্রমাণাদিসহ অভিযোগ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে। দুই দোকানিকে জরিমানা করা হয় মোট ৩০ হাজার টাকা।
এখানেই শেষ নয়। আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী দুই ভোক্তা পেয়েছেন জরিমানার ২৫ শতাংশ ভাগ। একজন পেয়েছেন আড়াই হাজার টাকা, অপরজন ৫ হাজার টাকা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) নগরের সুগন্ধা আবাসিক এবং পাঁচলাইশের খতিবের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এপিবিএন-৯ এর সহযোগিতায় অধিদফতরের উপপরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, বিকাশ চন্দ্র দাস ও মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, রুবেল আহমেদ নামের একজন ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুগন্ধা আবাসিক এলাকার সুগন্ধা জেনারেল স্টোরকে বেশি দামে লবণ বিক্রয় করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হয়।
একই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিংক, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ও অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়।
তুহিন নামের আরেক ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশি দামে লবণ বিক্রির অপরাধে পাঁচলাইশ থানাধীন খতিবের হাট এলাকার হাজি জেনারেল স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগকারীকে তাৎক্ষণিক ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।