বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি সময়ে ভালো যাচ্ছে না অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মারিয়া মিমের সংসার। গত কয়েক মাস ধরেই আলাদা থাকছেন তারা। এদিকে মারিয়া মিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি আর সিদ্দিকের সঙ্গে থাকতে চান না। শিগগিরই স্বামী সিদ্দিককে ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন মিম।
সিদ্দিক-মিমের সংসারে ছয় বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। কেন বিচ্ছেদ হচ্ছে তাদের? এমন প্রশ্নে মিম বলেন, ‘সিদ্দিককে ভালোবেসে আমি স্পেনের বিলাসী জীবন ছেড়ে সিদ্দিকের কাছে এসেছিলাম। পরিবারের সম্মতি নিয়ে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলাম। সেই ভালোবাসার ঘর আজ ভাঙনের মুখে! তিনমাস ধরে আলাদা থাকছি আমরা।’
বিচ্ছেদের আগে একে অপরের বিরুদ্ধে আনছেন নানা অভিযোগ। এর আগে সিদ্দিক জানান, কেবল মিডিয়ায় কাজ করতে না দেওয়াতে আলাদা থাকছেন মিম। মিম মিডিয়াতে কাজ করতে চাচ্ছে যে বিষয়টি আমার ভালো লাগে না। সেই কাজটি করতে চাওয়ায় আমাদের মধ্যে সমস্যার তৈরি হয়েছে।
এদিকে সিদ্দিকের এই অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মিম বলেন, ‘শুধু মিডিয়ায় কাজের বিষয় নয়, তার সঙ্গে ঘর ভাঙার শতশত কারণ আছে। যেগুলো এতদিন আমি সহ্য করেছি। যা এখন আর সহ্য করতে পারছি না। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা বললে গ্রেফতার হবেন সিদ্দিক।’
মিম আরও জানান, ‘বিয়ের পর থেকেই আমাদের মধ্যে অমিল শুরু হয়। বিয়ের আগে আমার কোনো কিছু নিয়ে সিদ্দিকের আপত্তি ছিল না। কিন্তু বিয়ের পর সে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে থাকে। যে কারণে তার এই পরিবর্তনের বিষয়গুলো আমি আর মানতে পারছি না। সব মেয়েদের স্বপ্ন থাকে, তার স্বামী একজন ভালো মনের মানুষ হবে। তাছাড়া সুখ শান্তিতেই থাকতেই পছন্দ করে মেয়েরা। সিদ্দিক আমার সব কাজ নিয়ে অভিযোগ করে। আমি সব কিছু ছেড়ে দিতাম। যদি আমার স্বামী আমাকে মানসিকভাবে শান্তি দিতো ও ভালোবাসতো। কিন্তু সে এমন মানুষ না। এই বিষয়গুলো সত্যি আমার কাছে বোঝা মনে হচ্ছে। আর যে কারণে সময়ের সাথে সাথে তার সঙ্গে থাকাটাও কতটা যৌক্তিক হবে সেটা সময় বলবে। সিদ্দিক আমার সঙ্গে অনেক প্রতারণা করেছে। কিন্তু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম। সব কিছু তো আর বলা সম্ভব নয়, যদি বলতাম তাহলে এতদিনে ওকে জেলে থাকতে হতো।’
‘সিদ্দিক আমাকে সব সময় মানসিক টর্চারে রেখেছে। আমার অধিকার হরণ করেছে। না, ওর সংসারে আমার কোনো স্বাধীনতা নেই। এখন সে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে নানাভাবে। তাই আমি তার নামে জিডি করেছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।