বিনোদন ডেস্ক: বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গ্রেফতার করেছে অভিনেতার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। সুশান্তের বাবা কেকে সিং রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বলেন, তার ছেলেকে জোর করে ড্রাগ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আপাতত ১৪ দিনের জেল হাজতে রয়েছেন রিয়া।
রিয়ার জামিনের আবেদন এর আগে খারিজ করে দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ রয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে সোমবার ফের নতুন করে জামিনের জন্য বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন পত্র জমা দিলেন তিনি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই অভিনেতার পরিবার এবং রিয়া চক্রবর্তী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছুঁড়ে দিয়েছেন। সুশান্তের দুই বোনের নামে এফআইআরও দায়ের করেছেন রিয়া। নতুন জামিনের আবেদন পত্রে বেশ কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রিয়া।
যার প্রথমেই তিনি বলেছেন, সুশান্তের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে যখন তার বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করার কথা ভাবেন। তখন সুশান্ত অনেকটাই ছোট ছিল। কিন্তু বাবার এই দ্বিতীয়বার বিয়ের ভাবনা মেনে নিতে পারেনি ছেলে। এর আগেও সুশান্তের বাবার দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন শিবসেনা মুখপাত্র। তখন সুশান্তের পরিবারের তরফেই তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ক্ষমা চাওয়ার জন্য, নইলে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
এছাড়াও সুশান্তের মনে হয়েছিল তার বাবা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের শিকার। এছাড়াও সুশান্তের মা দীর্ঘদিন ডিপ্রেশনে ভুগেছিলেন। তার মাকে ওষুধ দিত সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং। একই ওষুধ পরবর্তীতে সুশান্তকেও তিনি দিতেন। সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি ২০১১ সালে করা তার একটি ফেসবুক পোস্ট পরবর্তীতে মুছে ফেলেন, যেখানে তিনি তাঁর মায়ের মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
এছাড়াও রিয়া এই জামিনের আবেদন পত্রে বলেন, সুশান্ত নিয়মিত মাদক সেবনে অভ্যস্ত ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থার হাতে এখন যে সব কাগজ রয়েছে তার থেকেই এটা স্পষ্ট। শুধু নিজে নিতেন না, বাকিদেরও জোর করতেন। এর আগেও রিয়া বলেছেন, সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা মত্ত অবস্থায় তাঁর সঙ্গে অসভ্যতা করতে এসেছিলেন। এবারও তিনি একই কথা বলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।