জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পাওয়া আরও ৪৬৩ প্রার্থীর নিয়োগ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আর এসকল প্রার্থীরা সবাই কিশোরগঞ্জ জেলার।
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিল্পি রানীদাস সহ ১৪ জন এ রিটটি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীনে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য তথা কোটাপ্রার্থী এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। কিন্তু গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিকের ঘোষিত ফলের ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে বিবাদী করা হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি)।
রিটের শুনানিতে আদালত কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফলের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি নীলফামারী ও বরগুনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইদিন নওগাঁ ও ভোলা জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ জানুয়ারি পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও সিরাজগঞ্জসহ ১৪ জেলাতে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়। এরপর ২৬ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও ২৭ জানুয়ারি ঢাকা, গাজীপুর ও পিরোজপুর জেলার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়। এর পর ২৮ জানুয়ারি ফরিদপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও নাটোরের পর ফরিদপুর জেলার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি স্থগিত হয় সুনামগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, ঠাকুরগাঁ, বগুড়া, ঝিনাইদহ, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও নাটোর-এর নিয়োগ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১-৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারা দেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।