আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের দেখা পেতে যাচ্ছে ব্রিটিশ অর্থনীতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মন্দার সময় ব্যতীত এমন খারাপ সময় আর দেখেনি অর্থনীতিটি। খবর গার্ডিয়ান।
চলতি বছরের পুরোটা সময় অস্থির ছিল ব্রিটিশ অর্থনীতি। অন্যদিকে বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছেন বরিস জনসন। এ সবকিছুই প্রভাব ফেলছে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর পরিচালিত জরিপ ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের শেষ তিন মাস স্থবির থাকবে অর্থনীতিটি। কর্মসংস্থান বাজারে উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে এবং এক দশক ধরে উন্নতি হওয়ার পর সরকারি ঋণ আবার খাড়াভাবে বাড়তে শুরু করেছে।
বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে নতুন পূর্বাভাসে জানিয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই)। নির্বাচনের আগে ও ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অশ্চিয়তার দরুন খুচরা বিক্রি কমে যাওয়ায় এবং ব্যবসা বিনিয়োগ স্থগিত থাকায় প্রবৃদ্ধির এমন হাল হবে বলে মনে করছে বিওই। ব্যাংকটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-এ পুরো বছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ, মন্দার সময় বাদে অর্ধশতকের বেশি সময়ে এমন দুর্বল প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
রেজল্যুশন ফাউন্ডেশন বলছে, ২০২০ সালে ব্রিটেনে কর্মসংস্থান হার কমতে পারে। তবে গড় মজুরি বাড়তে পারে। থিংক ট্যাংকটি বলছে, ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা ও বৈশ্বিক শ্লথগতি ব্যবসায়িক আস্থার বড় পতন ঘটিয়েছে। ফলে বিনিয়োগ না হওয়া ও শূন্য প্রবৃদ্ধির দেখা পাওয়া যাচ্ছে। শ্লথ অর্থনীতিতে শ্রমবাজারও শ্লথ হয়ে পড়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে ২০২০ সালে ব্রিটেনের শ্রমবাজার খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে। নীতিনির্ধারকদের কাজকারবার এবং ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী টর্স্টেন বলেন, ২০১৯ সাল ব্রিটিশ অর্থনীতির জন্য একটি খারাপ বছর ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মন্দার সময়টা ছাড়া দুর্বলতম প্রবৃদ্ধির বছর হতে যাচ্ছে এটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।