এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন ফরম দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষকদের তথ্য গেছে। সব বিভাগেই ধারাবাহিকভাবে ভেরিফিকেশন ফরম যাচ্ছে। তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক নিয়োগের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের ডিএসবি এবং এনএসআইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য বিভাগেও ধারাবাহিকভাবে ফরম পাঠানো হচ্ছে। এরপর মূল কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া কিছু বিভাগে ভেরিফিকেশন ফরম পাঠানো হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাযথভাবে জেলা ভিত্তিক সব ফরম পায়নি বলে জানিয়েছে। আর যেগুলো ফরম পাওয়া যায়নি সেগুলো দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব (নিরাপত্তা-২ এবং ৩ শাখা) সাগরিকা নাসরিন বলেন, ‘৩২ হাজারেরও বেশি ফরমের কার্যক্রম সময় স্বাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফরমগুলো বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠানোর চেষ্টা করছি। শুধু এই কাজের জন্যই আমাদের বড় একটি টিম কাজ করছে। তবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে।’
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ‘আমরা চাই শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে এই মহান পেশায় আসুক শিক্ষকরা। তাই প্রথমবারের মতো ভেরিফিকেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে এ অবস্থায় সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়াকে কতটা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চেষ্টা করছি দ্রুতই যেন শিক্ষক সঙ্কট কাটিয়ে উঠানো যায়। এটি মাথায় নিয়েই আমরা ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি। সেখান থেকে যোগ্য ৩৮ হাজার শিক্ষককে নেয়া হয়েছে।’
এর আগে সরকারি হাইস্কুলে দুই হাজার সহকারি শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছে। যেটির নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। সে অভিজ্ঞতা থেকে ৩৮ হাজার শিক্ষকের ভেরিফিকেশন দ্রুত শেষ করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে একটি নির্দিষ্ট বিভাগের অধীনে। তাদের নিজস্ব কিছু ফর্মুলা রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম শেষ করতে সেগুলো অবশ্যই প্রয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে যে সময়টুকু লাগবে তা তো দিতেই হবে।’
এর আগে চলতি বছরের ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে বিভিন্ন নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য দুই হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে বাকি পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তবে আবেদন না পাওয়ায় এবং মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু ছয় হাজার তিনজন প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।