জুমবাংলা ডেস্ক : এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর এপ্রিলের বেতন এবং ডিসেম্বর থেকে বকেয়া বেতন সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
শনিবার রাত ১২টার দিকে মহাপরিচালক জানান, ‘গত বছরের ডিসেম্বর মাসের আংশিক লট-৭ এর প্রস্তাব ১৭ মে রাতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বৈশাখী ভাতা ও উৎসব ভাতাও রয়েছে। এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতাও আজ রাতেই পাঠানো হবে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলে কর্মরত প্রকল্পভুক্তদের হাতে জিম্মি লাখ লাখ শিক্ষকের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ ছাড়।
এদিকে শনিবারের মধ্যে এপ্রিল মাসের এমপিও ছাড় না করলে ১৮ মে সকাল দশটায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঘেরাও করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ ঘোষণা দেন তারা।
‘শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বেই পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা চাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতারা অংশ নেন, তারা নিজেদের নানা ‘বৈষম্যের’ কথা তুলে ধরেন।
শনিবার (১৭ মে) সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
আল আমিন নামে এক শিক্ষক বলেন, আমি ২৫ পার্সেন্ট উৎসব ভাতা চাই না, আমরা কোন পার্সেন্টিজ চাই না। আগামী ঈদুল আজহার আগেই ২৫ পার্সেন্ট ভাতার পরির্তন করে অনতিবিলম্বে শতভাগ উৎবভাতার ঘোষণা দিতে হবে। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বাড়িভাড়া এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাভাতা প্রদান করতে হবে।
তাদের ‘মূল দাবি’ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে এই শিক্ষক বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে।
দয়া করে সকল বৈষম্য ঘুচানোর লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দিন। আর্থিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল বৈষম্য ঘুচিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করুন।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেও জাতীয়করণের দাবিতে টানা ২২ দিন প্রেসক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচির কথা মনে করিয়ে দিয়ে আল আমিন বলেন, কাফনের কাপড় যেহেতু গায়ে জড়িয়েছি হয় কারাবরণ, না হয় জাতীয়করণ অথবা মৃত্যুবরণ। তাছাড়া আমরা এই রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৫৭ ভাগই এই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি আমি একই কারিকুলামে পড়াই, একই বইয়ে পাঠদান, একই প্রশ্নপত্রে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করি, ৫৭ ভাগ শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা দায়িত্ব পালন করি। তাহলে কেন সরকারি ও বেসরকারিতে এতো বৈষম্য?
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২২ দিন ধরে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন গত মার্চ মাসের শুরুতে।
সূত্র : দৈনিক শিক্ষা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।