স্পোর্টস ডেস্ক: ফ্রান্সকে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতাতে না পারায় হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন এমবাপ্পে। মাঠের মধ্যেই তাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
প্রথমার্ধের ৭৯ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনার কাছে পাত্তাই পায় নি ফ্রান্স। এর মধ্যে ২ গোল দিয়ে বসে আর্জেন্টিনা। তারা পুরোপুরি নির্ভার। এক গোল করা ডি মারিয়াকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনার জয় কেবল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু পরের ২ মিনিটে সব হিসেব উলট-পালট হয়ে গেল। এই স্বল্প সময়ে ২ গোল শোধ করে ফেলল ফ্রান্স। কৃতিত্বটা ২৩ বছর বয়সী এক ফুটবল সেনসেশনের। এমবাপ্পে তার নাম। হারতে বসা দলটাকে মুহূর্তেই গোল করে লড়াইয়ে ফেরান তিনি। নাটকীয় ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের তিনটি গোলই করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন ছিল না তার। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেও বিজয়ীর হাসি হাসতে পারলেন না তিনি, হয়ে গেলেন ট্র্যাজিক হিরো। নিজের সর্বোচ্যটা দিয়ে চেষ্টা করেছেন। আর্জেন্টিনার সঙ্গে নিশ্চিত হারা ম্যাচটা তার কারণে গড়ায় টাইব্রেকারে।
তিনি এবার বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন। কিন্তু মুখটা দেখে মনে হচ্ছিল, দলের জন্য বোধ হয় কিছুই করতে পারেন নি। কষ্টে ফেটে যাচ্ছিল বুক। এমন অসহায় চেহারা!
এমন সময় এমবাপ্পের দিকে ছুটে আসেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো। পিঠ চাপড়ে প্রশংসা করেন, এরপর আদরে টেনে নেন বুকে। পরে পুরস্কার বিতরণীর সময়ও এমবাপ্পেকে আদর করতে দেখা যায় ম্যাক্রোঁকে।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যম টুইটারে ম্যাক্রোঁ লেখেন, ‘দ্য ব্লুজরা আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। এই বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্স ও লড়াকু মানসিকতার জন্য ফ্রান্সের দলকে অভিনন্দন। তোমরা দেশবাসী এবং বিশ্বজুড়ে সমস্ত সমর্থকদের শিহরিত করে তুলেছ। জয়ের জন্য আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।