জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাস চত্বরে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার জন্য ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি ও তদারকির অভাবকে দায়ী করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। তদন্তে কোনো সুপারিশ না করে বরং ঘটনা নিয়ে পনেরোটির মতো পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন ও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক কঠোর অবস্থান উল্লেখযোগ্য।
২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় গত সোমবার তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। এমসি কলেজ পরিদর্শন করে তিন কার্যদিবস পর বৃহষ্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেন।
জানা গেছে, পরে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে, এমসি কলেজের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সকলে ঘাটতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, একশো চুয়াল্লিশ একর এলাকার বিশাল ক্যাম্পাসের অনেক স্থানে সীমানা প্রাচীর নেই। সীমানা প্রাচীর থাকলেও অনেক নিচু। কোথাও তারকাঁটা দেয়া থাকলেও তা কাটা। গাছগাছালি ও টিলা ঘেরা ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টিও নজরে এসেছে তদন্ত কমিটির। ঘটনাস্থলের পাশে ভবন নির্মাণাধীন থাকায় শ্রমিকদের অবাধ আনাগোনা এবং ছাত্রাবাস এলাকায় কলেজ কর্মচারীরা সপরিবারে থাকায় লোকজনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করে স্থায়ী একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার বলেও মনে করে তদন্ত কমিটি।
ধর্ষক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন বলেও তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এ ক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে রাজনৈতিক ও সামাজিক কঠোর অবস্থান নিতে হবে বলেও তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘ঘটনাটি ছাত্রাবাসের কোনো কক্ষে নয়, ধর্ষিতা ও তার স্বামীর গাড়িতে ঘটেছে’ বলেও তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে অপকর্মটি হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না বলেও মনে করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে দায়িত্বে থাকা দারোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় এবং তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে যারা ছিল তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেনি তদন্ত কমিটি।
তদন্ত সূত্র জানিয়েছে, মানসিক ট্রমায় থাকায় তদন্ত কমিটি ভিক্টিম নারীর সঙ্গে কথা বলেনি। তবে তার স্বামীর বক্তব্য নেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।