জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেটে আলোচিত এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অন্যতম দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশ সুপারের নিকট থেকে শুভেচ্ছা স্মারক ও নগদ অর্থ পুরস্কার পেলেন জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর) এর অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম।
রবিবার দুপুর ১২টার সময় জেলা পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসপি শামছুল হক মিলনায়তনে মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম তাকে শুভেচ্ছা স্মারক সহ নগদ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা পুরস্কার প্রদান করেন।
উল্লেখ্য গত ২৫শে সেপ্টেম্বর সন্ধার পর সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘবদ্ধভাবে কয়েকজন এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। আলোচিত এ ঘটনায় সারা দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি জেলা পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম এর নেতৃত্বে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর ভোর পাঁচটার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে তার একদিন পর জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং কানাইঘাট থানার যৌথ টিম সিলেট শহরে একাদিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জৈন্তাপুর থানাধীন হরিপুর এলাকা থেকে মামলার অন্যতম অপর আসামী মাহফুজুর রহমান মাসুমকে আটক করে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, আলোচিত এমসি কলেজের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দ্রুত সময়ে আসামি গ্রেপ্তার করায় জেলা পুলিশসহ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম বৃদ্ধি হয়েছে।’
আগামীতেও জেলা পুলিশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।