রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তুরস্কের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। ২০০২ সালে তার নেতৃত্বে একে পার্টি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। এরপর তিনি একটানা ২০ বছর দেশ শাসন করেছেন। ২০০২ সালে তার দল জয়লাভ করার পর বিরোধীরা তুরস্ককে নিয়ে অনেক ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। তার অনেক কিছুই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এরদোগানের ২০ বছরের শাসনের মূল্যায়ন নিয়ে বই লিখেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক দ্বিমিতার বেচেভ। তিনি মনে করেন এরদোগান জয়লাভের পর এক সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু করেন। তার দলের তৃণমূল নেতারা জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে দেয়।
এরপর থেকে তার জনপ্রিয়তা ধারণার থেকেও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে নির্বাচনে তার অবস্থান শক্তিশালী হয়ে যায়। জনকল্যাণমূলক সামাজিক নীতি বাস্তবায়নে সাফল্য পেয়েছে এরদোগানের দল। আজ পর্যন্ত তিনি নাজিমউদ্দিন এরবাকানের দেখানো পথেই চলেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি তুরস্ক। তবে এ প্রচেষ্টা করতে গিয়ে অনেক উন্নয়ন ও সংস্থারমূলক কাজ করতে হয়েছে এরদোগানকে। ১৯১৫ সালে আর্মেনীয় গণহত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে যে অভিযোগ এসেছে তা ভালোভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে এরদোগান সরকার।
তার সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দেশব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তিনি পুরনো পদ্ধতি থেকে সরে এসে নতুন পলিসি গ্রহণ করেন। সিরিয়া এবং লিবিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তিনি হস্তক্ষেপ করেন এবং কঠোর নীতি প্রয়োগ করেন।
তিনি বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করেন। রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সবসময় দাবি করেন যে, জনগণের ইচ্ছার গুরুত্বই তার কাছে সবথেকে বেশি। তবে এরদোগান নিয়ে কিছু সমালোচনাও আছে। যেমন দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চা হ্রাস পেয়েছে।
বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। কুর্দি জনগণের সাথে সরকারের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ওই বইয়ে লেখক এরদোগানের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেছেন। নানা রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
তার সময় বলকান অঞ্চলে তুরস্কের আধিপত্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে তুরস্কের অবস্থান আগের থেকেও শক্তিশালী হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।