রংপুর জাতীয় পার্টি ঘোষণা করেছে যে এরশাদকে রংপুরেই দাফন করতে হবে। রংপুরে লাশ নিয়ে যাওয়ার পর তা আর ঢাকায় ফিরতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে এরশাদের বৈধ উত্তরাধিকার রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদের বলেছেন যে, যেহেতু এরশাদ সেনাপ্রধান ছিলেন, তাই তাকে সামরিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে। এ এরশাদের দাফনের আগেই জাতীয় পার্টি দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে রংপুরের জাতীয় পার্টি আল্টিমেটামও ঘোষণা করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, রংপুরে জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা মশিউর রহমান রাঙাসহ কয়েকজন প্রভাবশালী জাতীয় পার্টির নেতার ইন্ধন রয়েছে। এই বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটাই দেখার বিষয়।
এরশাদের বাসভবনে ঢুকতে বিদিশার আকুতি শুনলেন না কেউ
সাবেক স্বামী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর খবর শুনেই ভারত থেকে দেশে ছুটে এসেছেন বিদিশা এরশাদ। গতকাল রোববার রাতেই ভারতের আজমীর শরীফ থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান তিনি। এরপর আজ সোমবার সকালে সোয়া সাতটা নাগাদ তিনি এরশাদের বারিধারা ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’র বাসভবনে যান। সন্তান এরিককে একবার দেখার জন্য আকুতি জানান তিনি। কিন্তু তাকে বাসার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিদিশা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পার্কের নিরাপত্তাকর্মী ও দলের কিছু কর্মী তার সাথে নির্মম আচরণ করেছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, আমি কি তবে আমার সন্তানকে দেখতে পারবো না?
বিদিশা বলেন, আমার ছেলে এরিকের অবস্থা ভাল না। আমি কিছুই চাই না। আমার সন্তানকে দেখতে চাই। সে ভালো নেই। সে একা রয়েছে। কান্নাকাটি করছে। তার সাথে দেখা করতে দেন, এমন অনুরোধ করার পরও তারা আমাকে ঢুকতে দেননি।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিদিশার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এরশাদের। এরশাদ-বিদিশা দম্পতির সন্তান এরিক এরশাদ। বিচ্ছেদের পরে আদালতের আদেশে এরিকের দায়িত্ব পান এরশাদ। এরিকের বয়স এখন ১৮ বছর। এরিক বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাবা এরশাদের সঙ্গে থাকতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।