জুমবাংলা ডেস্ক : ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কৌশল প্রণয়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শের-এ-বাংলার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বর্তমান সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
একনেকের বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর সুবিধা বহাল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হওয়ার বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সমন্বয়ের কোনো সমস্যা নেই। এটি কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি সার্বিক সমস্যা। এলডিসি থেকে উত্তরণে কিছু সম্ভাবনার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও রয়েছে।’
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মোঃ আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বক্তব্য রাখেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি। এ সভায় ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
তিনি জানান, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার নির্দেশের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে মোট ৮ হাজার ৪২৫.৫১ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৯৩৯.৮৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আসবে এবং বাকি ৪৮৫.৬৪ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত), কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনা মসজিদ-বালিয়াদিঘি বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়), ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারজি ডেভলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়), ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত) ইত্যাদি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।