স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৯ সালে লাহোরে টিম শ্রীলংকার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর পর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসনে ছিল। দীর্ঘ ১০ বছর সেখানে ফিরেছে মূলধারার ক্রিকেট। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে দেশটি সফর করে এসেছে শ্রীলংকা।
ঐতিহাসিক সিরিজটি দারুণভাবে শুরু করে পাকিস্তান। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ দাপটের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে জেতে তারা। প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। তবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলটির বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছেন স্বাগতিকরা।
এভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিভিন্ন স্তরে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন সরফরাজ আহমেদ। এ সিরিজে ব্যাট হাতে সুপারফ্লপ ছিলেন তিনি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেও ব্যর্থ হন পাক অধিনায়ক।
এতেই ক্ষেপেছেন পাকিস্তানি সমর্থকরা। লাথি-ঘুষি মেরে সরফরাজের হোর্ডিং (প্রচার বোর্ড) ভেঙে ফেলেছেন ক্ষুব্ধ এক ভক্ত। এরই মধ্যে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
লাহোরে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৩ রানে হারে পাকিস্তান। শ্রীলংকার দেয়া ১৪৮ রানের টার্গেটও ছুঁতে পারেনি তারা। এর পর নিজের মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ওই ভিডিও পোস্ট করেন পাকপ্যাশনের সম্পাদক সাজ সাদিক।
ক্যাপশনে তিনি লেখেন, অপেক্ষাকৃত খর্বাশক্তির শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩ -০ ব্যবধানে পরাজয়ের পর সরফরাজকে নিয়ে খুশি নন এ সমর্থক।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সরফরাজের হোর্ডিংয়ে সমানে কিল-ঘুষি-লাথি মারছেন এক সমর্থক। শেষমেশ ভেঙেচুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে সেটি।
শুধু ওই সমর্থক নন, সরফরাজকে নিয়ে বিরক্ত পাকিস্তানের সিংহভাগ ক্রিকেট অনুরাগী। যার শুরুটা হয় বিশ্বকাপে মর্যাদার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের পর। অধিনায়ক পদ থেকে তাকে অপসারণের দাবি তোলেন সমর্থকরা।
তাতে সহমত ছিল সাবেক পাক ক্রিকেটারদেরও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে তার হাই তোলার ঘটনা বিষয়টিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিটনেস নিয়ে তাদের তীব্র আক্রমণের শিকার হন পাক ক্রিকেটাররাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।