আসাদুজ্জামান নূর আওয়ামী লীগের সময় সাবেক সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী ছিলেন। বছরে আনুমানিক ৪ হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের বাজারের ৮০ শতাংশ দখল তার কাছেই ছিল। এশিয়াটিক গ্রুপকে সাথে নিয়ে তিনি এটি দখলে রেখেছিলেন। এশিয়াটি গ্রুপ হচ্ছে আলী যাকের পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
এশিয়াটিক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রুপ এমএ এমডি মোরশেদ আলম বলেন, মিডিয়া বায়িং এবং প্ল্যানিং সংক্রান্ত কাজের জন্য চারটি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া ইনফ্লুয়েন্সার ম্যানেজ করার জন্য তদারকিতে রয়েছে তাদের আরো একটি কোম্পানি।
এ পাঁচটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছে মোরশেদ আলম। তিনি জানান সবগুলো কোম্পানিতে নিজের মাইনরিটি শেয়ার রয়েছে। এসব কোম্পানির অন্য মালিকরা হলেন, আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকের, ইরেশ যাকের, শ্রেয়া যাকের।
৫ আগস্ট এর পর সারা যাকেরের চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি তিনি জানান। মোরশেদ আলম উল্লেখ করেন, তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আসাদুজ্জামান বর্তমানে কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান পদে আর নেই।
পাশাপাশি তিনি পরিচালনা পর্ষদের বাইরে রয়েছেন। তিনি শুধু কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হিসেবে কার্যকর রয়েছেন। বিজ্ঞাপনের কাজের সৃজনশীলতার বিষয়টি দেখে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেড। এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন ফেরদৌস হাসান।
তবে মালিকানায় আসাদুজ্জামান নূর, সারা জাকের, ইরেশ যাকের রয়েছেন। মোরশেদ আলম জানান, পাঁচ আগস্টের পর চেয়ারম্যানের পর থেকে ও পরিচালনা পর্ষদ থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে বাদ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি সারা যাকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ইভেন্ট এবং অ্যাক্টিভেশন এজেন্সি হিসেবে এশিয়াটিক ইএক্সপি লিমিটেডের কথা উল্লেখ করেন মোরশেদ আলম।
তিনি জানান, এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন ইরেশ যাকের। তবে মালিকানায় রয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর, সারা জাকের,, শ্রেয়া যাকের, ফেরদৌস হাসান। আসাদুজ্জামান নুরকে এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জনসংযোগ সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুটি এজেন্সের নাম উল্লেখ করেন মোরশেদ আলম। তারাও এশিয়াটিক গ্রুপের সদস্য। ইকরাম মইন চৌধুরী এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যার হাতে রয়েছে কোম্পানি দুইটির মাইনোরিটি শেয়ার।
এ দুটি এজেন্সি হচ্ছে ফর থট পিআর, ব্ল্যাকবোর্ড পিআর। এখানেও মালিক হিসেবে রয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকের, ইরেশ যাকের প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। এখানেও পাঁচ আগস্ট ২০২৪ এর পর আসাদুজ্জামান নূরকে সরিয়ে সারা যাকেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
আসাদুজ্জামান নূর পরিচালনা পর্ষদ থেকেও অব্যাহতি প্রাপ্ত হন। শুধু কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হিসেবে এখনো রয়ে গেছেন। বাংলাদেশের বাইরে আরব আমিরাতে বা অন্য কোন দেশে এশিয়াটিক গ্রুপের মালিকানাধীন কোন কোম্পানি কার্যকর আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয় তিনি পুরোপুরি অবগত নন।
অ্যাফিলিয়েট এজেন্সি হিসেবে প্রিন্সিপালগুলোকে রয়ালটি বা ফি হিসেবে অর্থ পরিশোধ করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা অডিট সাপেক্ষে নিয়মিত রয়ালটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করেন। কীভাবে সেই অর্থ পরিশোধ করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনে প্রচলিত আইনে তারা অর্থ পরিষদ করেন।
মোরশেদ আলমকে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছিল এশিয়াটিক গ্রুপের চেয়ারম্যান সারা জাকের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরেশ জাকের, এশিয়াটিক এমসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেরদৌস হাসান, তাদের সাক্ষাৎ বা ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তবে তিনি জানেন এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
সোর্স: ডেইলি আমার দেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।